ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

অনলাইন ডেস্ক

(১ সপ্তাহ আগে) ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ পূর্বাহ্ন

mzamin

প্রথম আলো 
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম সংসদ সদস্যদের ‘গাড়িবিলাস’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গাড়িটির আমদানি মূল্য দেড় কোটি টাকার কম। তবে শুল্ককর পড়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এরপর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খরচ ও মুনাফা যোগ হয়ে গাড়িটি বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা প্রায় ১২ কোটি টাকায়। তবে সংসদ সদস্যরা নিজেদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করলে ছাড় পান প্রায় ১০ কোটি টাকা। কার্যত তাঁরা ১২ কোটি টাকার গাড়ি কিনতে পারেন দেড় কোটি টাকায়।
জাপানের টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার এফজেএ ৩০০ ডব্লিউ মডেলের এই গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক, যিনি ব্যারিস্টার সুমন নামে বেশি পরিচিত। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ৫১ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিলেন, ঋণপত্র খুলেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের গাড়ি দেশে এসেছে। ছয়জন গাড়ি খালাস করতে সমর্থ হয়েছেন। চারজনের গাড়ি খালাস করার আগেই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ফলে চার সংসদ সদস্যের গাড়ি আটকে দিয়েছে কাস্টমস।

যুগান্তর
দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘হাসিনা পরিবারের ৬০ কাঠা প্লট’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে স্বয়ং নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তিনি একা নন, প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়) ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এছাড়া প্লট বরাদ্দ প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলেমেয়ে। 
সূত্র জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে তাদের প্লট দেওয়া হয়। ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতি গোপনীয় বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না। হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন। 
এদিকে হাসিনার পতনের পর এ সংক্রান্ত প্লট বরাদ্দের ফাইল রাজউকের রেকর্ড শাখা থেকে সরিয়ে অন্যত্র লুকিয়ে ফেলা হয়। পরে চেয়ারম্যানের ড্রয়ারে ফাইল রয়েছে এমন খবরে রাজউকে ক্ষোভ-অসন্তোষ দেখা দেয়। সম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির মুখে এ সংক্রান্ত ৬টি ফাইল পুনরায় রেকর্ডরুমে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে চুরি বা নথি হারানোর শঙ্কায় সবকটি ফাইল বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। 

সমকাল 
দৈনিক সমকালের প্রধান সংবাদ ‘বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর সরকার পোশাক কারখানা খুলছে আজ’। খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের পক্ষে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। গত কয়েক দিনের মতো গতকাল বুধবারও পোশাকশিল্প অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষোভ-ভাঙচুর হলে অন্তত ১৬৭ প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজধানীর উত্তরায় নিজস্ব ভবনে বৈঠকে বসেন বিজিএমইএ নেতারা। এতে সংগঠনের সাবেক ছয় সভাপতি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিল্প পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকে যৌথ বাহিনী বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর অবস্থানের আশ্বাস দিলে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ী নেতারা।
পরে সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী থেকে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিশৃঙ্খলাকারীদের গ্রেপ্তার করবে তারা। পোশাক মালিকরা আশ্বস্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে সব কারখানা খোলা রাখা হবে। এতদিন শিল্প এলাকায় সেনাবাহিনী টহল দিয়েছে। যৌথ বাহিনী হলেও ছিল না গ্রেপ্তারের ক্ষমতা।

দেশ রূপান্তর 
আত্মীয়চক্রে আতিকের আয়েশি সাম্রাজ্য’ দৈনিক দেশ রুপান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভাতিজা-ভাগিনাসহ আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) পরিবারিক একটি সিন্ডিকেটে পরিণত করেছিলেন সদ্য সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির ছোট-বড় সব খাত থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। লুটপাট থেকে বাদ যায়নি বস্তি উন্নয়নের টাকাও।
তাছাড়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন, নিয়োগ, বদলি ও ময়লা বাণিজ্যসহ ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন রাজধানীর সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে খরচ করেছেন জনগণের করের টাকা। বাড়তি বিল ভাউচারে আপত্তি তোলায় কর্মকর্তাকে বদলি করার মতো নজিরও স্থাপন করেছেন সাবেক মেয়র আতিকুল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য থাকার কারণে শত দুর্নীতি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি। দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি ও ডিএনসিসির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অন্য সুবিধাভোগীদের মতো বেকায়দায় পড়েন মেয়র আতিকুলও। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে নিয়োগ করা হয় প্রশাসক।

ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান সংবাদ ‘Labour unrest intensifies’ অর্থাৎ ‘শ্রমিক অসন্তোষ তীব্র হচ্ছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে গতকাল প্রায় ২০০টি কারখানা উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে। 
এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ গতকাল বলেছেন, যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করছে তাদের বেশিরভাগই বহিরাগত।

বণিক বার্তা
মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান খবর ‘প্রতি গিগায় প্রাথমিক গড় ব্যয় প্রায় ৪ টাকা বিক্রি ২৫-৩৫ টাকায়’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের ব্যবসায়িক উল্লম্ফন ঘটিয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাটা বিক্রিতে। বিগত কয়েক বছরে এ বাবদ বড় মুনাফা আদায় করে নিয়েছে অপারেটররা। 
প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি গিগাবাইট মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা সরবরাহে ব্যয় হচ্ছে সোয়া ২ থেকে সোয়া ৫ টাকার মতো। গড়ে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪ টাকায়। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ব্যয় ২ টাকা ২৬ পয়সা। আর রবি আজিয়াটার ব্যয় হয় ৫ টাকা ২৮ পয়সা। বাংলালিংকের আর্থিক বিবরণীতে ডাটার ব্যয়সংক্রান্ত বিশদ কোনো তথ্য প্রকাশ না হলেও খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতি গিগাবাইট মোবাইল ডাটায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় রবির কাছাকাছি।  
যদিও অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা সরবরাহে গড়ে যে ৪ টাকা খরচের কথা বলা হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তাদের ব্যয় হয় তার চেয়ে বেশি। রেগুলেটরি ফি, সরকারকে প্রদেয় ভ্যাট, ট্যাক্স, স্পেকট্রাম ক্রয়, সেবা বিক্রয়, মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন, বিটিআরসির সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের প্রদত্ত অর্থও এর সঙ্গে যুক্ত হয়। এসব হিসাব করলে ইন্টারনেট সরবরাহের ব্যয় আরো বেশি হয়।
দেশে ইন্টারনেট সেবার সম্প্রসারণে গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে কেনা ব্যান্ডউইডথের মূল্য কমেছে। ডাটার ব্যবহার বেড়েছে। পাশাপাশি আইএসপি অপারেটরদের দেয়া ব্রডব্যান্ড সংযোগেরও গ্রাহক বেড়েছে। তবে সিংহভাগ গ্রাহকই সেলফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। ফোরজি প্রযুক্তি অপারেটরদের ডাটাভিত্তিক সেবা আরো সম্প্রসারণের সুযোগ এনে দিয়েছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে অপারেটররা ব্যবসা করলেও বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলছেন গ্রাহক।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status