বিশ্বজমিন
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে জটিলতা, ভারতের সামনে বিকল্প কি?
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৪:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৪০ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ থেকে নাটকীয়ভাবে দেশত্যাগ করে শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেয়ায় ভারতের জন্য কৌশলগত বড় জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। তা হলো যদি শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত চায় বাংলাদেশ তখন কী ঘটবে? দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তির ব্যতিক্রমী ধারা যদি ভারত ব্যবহার করে তাহলে তাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে? বাংলাদেশে কৌশলগত দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ভারত কীভাবে এই কৌশলগত জটিলতার সমাধান করতে পারে? ভারতের অনলাইন দ্য মিন্টে এসব কথা লিখেছেন সাংবাদিক শ্বেতা সিং। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি হলো- বাংলাদেশ নয়, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শক্তিশালী মিত্র ভারত। এই অঞ্চলে এই দল এবং সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক পরিচয় ভারতের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে ভারতের। আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আছে একটি প্রত্যর্পণ বিষয়ক ‘অ্যারেঞ্জমেন্ট’। ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত হয় ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি। তা সংশোধিত হয় ২০১৬ সালে। এ থেকে সুবিধা পেয়েছে দুই দেশই। জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) মতো সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের জন্য। তাদের নেতাকর্মীদেরকে পশ্চিমবঙ্গে ও আসামে লুকিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ। এই চুক্তির অধীনে বেশ কিছু বাংলাদেশি পলাতককে হস্তান্তর করা হয়। তবে এখন ভারতের নির্ভরযোগ্য কৌশলগত মিত্র শেখ হাসিনাকে ফেরতের ক্ষেত্রে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। বাংলাদেশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ফেরত চায়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়টিকে অনুমাননির্ভর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিষয়টি এখন কূটনৈতিক ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এস্টাবলিশমেন্টের কৌশলগত চিন্তা-ভাবনার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাহলে ভারতের সামনে বিকল্প কি? যদিও দীর্ঘদিনের বন্ধু শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে চায় ভারত, কিন্তু রাজনীতি আবেগ দিয়ে পরিচালিত হয় না। রাজনীতি পরিচালিত হয় বাস্তবতা ও বিচক্ষণতা দিয়ে। বাস্তবিক রাজনীতিতে ব্যক্তিভিত্তিক রাজনীতির ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থ। ভারতের প্রতিক্রিয়া বা জবাব কী হয় তা এখনো অনেকটা দেখার বাকি। যদি তারা প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে প্রত্যর্পণ চুক্তির ব্যতিক্রমী ধারাগুলো ব্যবহার করে তার ওপর ভিত্তি করে সেটা করতে হবে। এই ধারা নিয়ে এখনো বিতর্ক আছে। ভারত চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ ও অনুচ্ছেদ ৮ ব্যবহার করে তার বৈধতার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। অনুচ্ছেদ ৬ ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র হিসেবে ‘পলিটিক্যাল ক্যারেকটার অব অফেন্স’ ব্যবহার করা যায়। এই অনুচ্ছেদ রাজনৈতিক অপরাধের ব্যতিক্রমকে অনুমোদন করে। অন্যদিকে অনুচ্ছেদ ৮-এর ১.৩’তে বলা হয়েছে- একজন ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না, যদি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরল বিশ্বাসে করা না হয়। এই দুটি ধারা বা উপধারাই ভারত টেকনিক্যালি ব্যবহার করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানানোর পরিমাপকের মধ্যে পড়ে। তা সত্ত্বেও, এটা করা হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর এর (ক্ষতিকর) পরিণতি বয়ে আনবে।
অনেক বছর ধরে অন্য প্রতিবেশীদের মতোই বাংলাদেশকে দেখে এসেছে ভারতের নীতিনির্ধারকরা। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের ভেতরে ভারতকে কি দৃষ্টিতে দেখা হয় সেদিকে মনোযোগ দেয়ার এবং সেখানকার সেন্টিমেন্টকে স্বীকৃতি দেয়ার। সেটা করতে হবে রাজনৈতিক এবং গ্রাউন্ড পর্যায় উভয় উপায়ে। তৃণমূল পর্যায়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি হলো বাংলাদেশের চেয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ হলো ভারতের শক্তিশালী মিত্র। এই দল এবং সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক এই সম্পর্কের পরিচয় এ অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদে ভারতের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে যখন চীনের সঙ্গে স্বার্থের প্রতিযোগিতা চলছে। ভারতের নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি, সাগর ডকট্রিন এবং অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির জন্য বাংলাদেশ হলো কৌশলগত আঠার মতো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সহ বাংলাদেশের সব মূল বিরোধী দলের সঙ্গে সব চ্যানেল ভারতের উন্মুক্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের জন্য। এই পথেই ভারতের পলিসি এস্টাবলিশমেন্ট প্রথমে সচল হয়েছে।
এ ছাড়া বহুল আলোচিত সংখ্যালঘু কার্ড বাংলাদেশে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের পক্ষে যাবে না। কারণ, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিষ্কার করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের অন্য সব রাজনৈতিক দলকে ইসলামপন্থি হিসেবে বিবৃত করা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নয়াদিল্লিকে।
তাহলে ভারত ভিন্ন কি করতে পারে? তারা কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক আইনকে একসঙ্গে নিয়ে একটি বহুমুখী উদ্যোগ নিতে পারে। ভারতকে দেশের ভেতরে সংখ্যালঘু কার্ড খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ভারতে স্বল্প মেয়াদে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশে সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি যদি ভারত সর্বোচ্চ কূটনৈতিক চ্যানেল ব্যবহার করে তুলে ধরে তাতে ভারতের উদ্যোগ কোনোভাবেই হেয় করে না। সংক্ষেপে এ সময়ের প্রয়োজন কৌশলগত বাস্তবতা।
বাংলাদেশ থেকে পলায়নকারী শেখ হাসিনা লেখা যৌক্তিক হবে।
IND is likely to grant her asylum b/c she is the main face of a strong political party - she is also the support base for liberals/Hindus who challenge the majority (eg. our anthem debate) and run IND's cultural imperialism; so to IND she's a potential leverage - they'll create all the fasad behind the shadows (while preoccupy us blaming Hasina) - in short, IND will facilitate her to communicate with her key allies in BD (this in my view, cannot be possible if she lives in another country other than IND) --- IND aims to kill two birds with one stone (1. use her as a scapegoat; 2. aid her in staging plots to cause communal violence and instability)
There was a time when the ethos of India was "Tu hindu banega na Musalaman banegaa". But since the BJP/Shivshena government came to power it is gone. Now the ethos is "Jai SreeRam"! They want to establish a Hindu empire from Bangladesh in the east to Afghanistan in the west (yes, they are that arrogant). According to them you can believe in any religion but the VALUES must be Hindu values. Awami League had been an apt party for that purpose.
The accuses against Hasina mex are not true, India will use other option to not back her Bangladesh. We have seen mess murder on the time of Zia, Ershad, Khaleda, and Hsina, there will be a question, What is our justice department has been doing with previous allegations , no justice has been done a lots of cases, so, India will use their power or other options to keep Hasina safe, because they believe AL and Hasina is the only options to keep their & sister in peace.
সভানেত্রী গনতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা হিজরতে আছেন। তিন এ মাটির কওমী জননী। তিনি অচিরেই ফিরে আসবেন এবং নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবেন।
জঘন্য মোদি এখন বাংলাদেশ হাসুকে চাওয়ার আগেই তাড়াতাড়ি অন্য দেশে পাঠিয়ে দেবে নিশ্চয়ই
ফ্যাসিনা'কে এখনই ফেরত না চাওয়াই ভালো। দরকার আর সময় মতো ইন্ডিয়াকে 'মোচড়' দেয়া যাবে তাহলে।
WE WANT HASINA FEASIST
একটি আদর্শ পরিপূর্ণ রিপোর্ট। বিশ্লেষনে ভারত নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কথা ফুটে উঠেছে।আসলে কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল একটি রাস্ট্রের সম্পর্কের মাপকাঠি হতে পারে না।এক দশক আগেও বাংলাদেশ এত ভারত বিরোধী মানুষ ছিল না।এটা শুধু হাসিনা নির্ভরতার জন্যই হয়ে গেছে।দৃস্টিভঙ্গি পরিবর্তন না করলে চীনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বাড়বে।তাতে আখেরে ক্ষতি কি হবে,তার হিসাব ভারতকে করতে হবে।
ভরত হচ্ছে একটা জঘন্য কীট, ভারত সব সময় নিজেদের স্বার্থ অনেক অন্যায় কাজ সমর্থন করে যেটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে। আাদনি ও রেল টানজিট চুক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত।
ভারত কখনো শেখ হাসিনাকে ফেরৎ দিবেনা এটই বাস্তবতা আর বাংলাদোশের ওই ধরণের কূটনীতিক দক্ষতা কখনো ছিলোনা এখনো নাই ডক্টর ইউনুস কতদিনই বা থাকবেন ওনার আবেদনে ভারত সাড়া দিবেনা। আজও আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি নেতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে পুরোটাই বর্তমান সরকার ও বাংলাদোশের স্বার্থ বিরোধী।
একটি আদর্শ পরিপূর্ণ রিপোর্ট। বিশ্লেষনে ভারত নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কথা ফুটে উঠেছে।আসলে কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল একটি রাস্ট্রের সম্পর্কের মাপকাঠি হতে পারে না।এক দশক আগেও বাংলাদেশ এত ভারত বিরোধী মানুষ ছিল না।এটা শুধু হাসিনা নির্ভরতার জন্যই হয়ে গেছে।দৃস্টিভঙ্গি পরিবর্তন না করলে চীনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বাড়বে।তাতে আখেরে ক্ষতি কি হবে,তার হিসাব ভারতকে করতে হবে।