ঢাকা, ৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

দেশ বিদেশ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ২০০ পোশাক শ্রমিক নিহত: গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০০ জন পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। এসব শ্রমিক হত্যার বিচার, দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে ৮০০ মানুষ জীবন দিয়েছেন। তাদের মধ্যে পোশাক শ্রমিক ২০০ জন। তাই এটাকে শুধুমাত্র ছাত্র গণঅভ্যুত্থান না বলে ছাত্র-শ্রমিক গণঅভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করতে চাই। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১৫ লাখ কোটি টাকা। আর এই ১৫ বছরে দেশবাসীর ঘাড়ে চেপেছে ১৮ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণের বোঝা। 
আমিরুল হক আমিন আরও বলেন, গত ২রা সেপ্টেম্বর থেকে মজুরি বৃদ্ধি, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বা বাদ দেয়া, নিয়োগে নারী-পুরুষ বৈষম্য, আন্দোলনকারী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে আশুলিয়া, গাজীপুর, টঙ্গী, কালিয়াকৈর, চন্দ্রা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। কোথাও কোথাও কারখানা ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা দেখেছি বহিরাগতরা শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন। 

সেগুলো হলো: ১. অবিলম্বে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ৮ সদস্যসহ সব শ্রমিক হত্যার বিচার, দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ২. নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. আহত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় এবং উচ্চতর চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। ৪. গত মজুরি আন্দোলনে ২০ হাজার পোশাক শ্রমিকের নামে দায়ের করা ৪৩ মামলাসহ শ্রমিকদের নামে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ৫. সব কারখানায় সাত কর্মদিবসের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। ৬. বেআইনিভাবে শ্রমিকদের ব্ল্যাক লিস্ট করা বন্ধ করতে হবে। এর আগে ব্ল্যাক লিস্ট করা তালিকা বাতিল করতে হবে। ৭. গার্মেন্ট শিল্পে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বহিরাগতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ৮. শ্রমিক সংগঠনগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করতে হবে। ৯. কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে। ১০. ট্রেড ইউনিয়ন গঠন এবং পরিচালনায় সব বাধা দূর করতে হবে। ১১. ৪২ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ১২. কোনো কারখানায় অসন্তোষ দেখা দিলে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সহ দ্রুত সমাধান করতে হবে। ১৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রম আদালতের মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। ১৪. আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮-এর আলোকে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালাকে সংস্কার করতে হবে।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status