প্রথম পাতা
বিতর্কের অবসান
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবারপ্রেসিডেন্টকে অপসারণের দাবি ঘিরে নানা বিতর্ক। বঙ্গভবন ঘিরে বিশৃঙ্খলা। নানা জায়গায় কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। পদত্যাগের আল্টিমেটাম এসেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্টকে অপসারণ বা তার পদত্যাগ এই মুহূর্তে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। এতে নতুন করে দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে আপাতত সাহাবুদ্দিনকেই পদে রেখে সংকট সমাধানের চিন্তা করা হচ্ছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও ভাবতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো চাইছে দেশে যাতে নতুন করে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি না হয়। এ বিষয়ে সরকারকেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে দলটির তরফে। বিএনপি’র সমমনা দলগুলোও এমন চিন্তা করছে। এ অবস্থায় পুরো বিষয় পর্যালোচনা করছে সরকার।
প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি জানিয়ে আসলেও গতকাল তারা এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। ইস্যুটি এখন অনেকটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় হয়ে উঠেছে। সরকারের তরফেও বলা হয়েছে এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এ ইস্যুতে বিএনপিসহ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হয় এমন কোনো উদ্যোগ চায় না। এ কারণে সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ ইস্যুতে গতকাল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও এ বিষয়ে বৈঠক করেন দলটির নেতারা। বৈঠক শেষে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, দেশে নতুন করে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হোক বিএনপি এমনটা চায় না। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যদি কোনো সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক সংকট তৈরি করার চেষ্টা করে, তাহলে গণতন্ত্রকামী ও আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবো। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি এমন এক সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন যখন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি জোরালো হচ্ছে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছি কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি নেতারা সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দোসররা নানা কৌশলে, নানাভাবে দেশে রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন লড়াই করে বহু রক্তের বিনিময়ে আমরা যে পরিবর্তন অর্জন করেছি, এই পরিবর্তনের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় করা দরকার। এখানে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার সংগঠন, ছাত্র-যুব সংগঠন, সবার দৃঢ়তর ঐক্য গড়ে তোলা দরকার। যাতে কেউ কোনোভাবে দেশে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট কিংবা রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে না পারে, এভাবে সবাইকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে।
ওদিকে গতকাল দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রেসিডেন্ট পদে শূন্যতা এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টি করবে, সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করবে- এটা জাতির কাম্য নয়।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পদ একটা সাংবিধানিক পদ। সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। এই পদে হঠাৎ করে পদত্যাগের মাধ্যমেই শূন্যতা সৃষ্টি হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে এবং রাষ্ট্রীয় সংকটের সৃষ্টি হবে। আর রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যদি গণতন্ত্র উত্তরণের পথটা বিলম্বিত হয় কিংবা বাধাগ্রস্ত হয়- সেটা জাতির কাম্য হতে পারে না। সালাহউদ্দিন বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদের এবং তাদের দোসররা যাতে কোনো রকম ষড়যন্ত্র করে এখানে অন্য কিছুর পাঁয়তারা করতে না পারে, সেজন্য আমরা সবাইকে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আর আমরাও ঐক্যবদ্ধ আছি। ঐক্যবদ্ধভাবেই সমস্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো। বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বিষয়ে বলেন, বিকল্প তৈরি না করে এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করা সমীচীন হবে না। তিনি বলেন, অপসারণের ফলে নানা ধরনের সাংবিধানিক সংকট হতে পারে। ওদিকে জামায়াতও এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান তার ফেসুবক পেজে প্রেসিডেন্টকে তার অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপেও তিনি বলেন, বিষয়টি প্রেসিডেন্টকেই স্পষ্ট করতে হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি যেমন বলেছে, নতুন একটা সাংবিধানিক জটিলতা কিংবা বিতর্কের মধ্যে পড়ার আমাদের দরকার নেই। প্রেসিডেন্টের বিষয়টি যদি এতই গভীরতর হয় তাহলে সরকারের উচিত হবে সবগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলা এবং সেই কথার আলোকে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। যাতে এটাতে জাতীয় একটা ঐকমত্য প্রতিফলিত হয়। আমরা এর আগে যখন এরশাদকে বদলিয়ে সাহাবুদ্দীন সাহেবকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়েছিলাম, তখন এমনটাই করা হয়েছিল। আমি মনে করি, দেশের যত সমস্যা আছে, সেই সমস্যার পাশাপাশি এই সমস্যারও সমাধান করা যাবে এবং এটা আমাদের যাত্রাপথে বড় কোনো বিঘ্ন হবে না।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক জটিলতা বাড়ানোর দরকার নেই, সমাধান হলো জাতীয় ঐকমত্য। যে ভুল তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) শুরুতেই করেছে সেটার কাফ্ফারা দিতে পারবে না, যতদূর পারে সংশোধনের চেষ্টা করতে পারে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা আলোচনা করছি, প্রাথমিকভাবে মনে করি, সরকারের উচিত হবে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া। এটা একটা রাজনৈতিক ইস্যু, সাংবিধানিক নয়। প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, তিনি এটা বলেননি। ৫ই আগস্ট তিনি আমাদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা বলেছেন। তার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেও একই কথা বলেছেন। এখন তার এই বক্তব্য স্পষ্ট করার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি। এখন তার পদে থাকার বিষয়ে আমরা রাজনৈতিকভাবে আলোচনা করছি। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত শিগগিরই এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, প্রেসিডেন্টের দ্বিমুখী বক্তব্য জাতির সঙ্গে শঠতার শামিল। গণঅভ্যুত্থানে গঠিত নতুন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন।
গতকাল বিকালে পুরানা পল্টনে অবস্থিত আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা মনে করি, প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যের মাধ্যমে যে ধুম্রজাল তৈরি করেছেন তাতে এই পদে থাকার নৈতিকতা তিনি হারিয়েছেন। তার বক্তব্যের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। নতুন একটা ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে যেহেতু সংসদ নাই সেহেতু এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিতে হবে। এর বাইরে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করলে এবং প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে পদত্যাগের দাবি করলে সম্ভব হবে না। এটা রাষ্ট্রের জন্য শোভনীয়ও নয়। আমি মনে করি, অতি উৎসাহী আন্দোলনগুলো বন্ধ হওয়া দরকার এবং সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা প্রক্রিয়া বের করা দরকার।
প্রেসিডেন্টের থাকা না থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: নাহিদ
মো. সাহাবুদ্দিন প্রেসিডেন্ট থাকবেন কি থাকবেন না, এই প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক কোনো প্রশ্ন নয়- বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। তিনি বলেন, এটি একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা নাহিদ। অন্তর্বর্তী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সে সময় বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু যদি আমাদের মনে হয় এই সেটআপে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেটআপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাববো।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হলে তা সাংবাদিকদের জানানো হবে। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি। শফিকুল আলম বলেন, প্রেসিডেন্টকে অপসারণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ ও আলটিমেটাম নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান তো আপনারা দেখছেন, যারা বিক্ষোভ করছে তারা যেন বঙ্গভবনের আশপাশ থেকে সরে যায় সেটার জন্য বলেছি। বঙ্গভবনের সিকিউরিটি বাড়িয়েছি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে বিএনপি’র সঙ্গে এ বৈঠক হয়েছে। কালকে উনারা জানিয়েছিলেন আজকে আসবেন। এর আগেও এরকম অনেক সংলাপ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রচুর কথা হচ্ছে। এটার অংশ হিসেবে আজকে বিএনপি’র সঙ্গে কথা হয়েছে। কোনো অগ্রগতি হলে আপনারা জানবেন। প্রেসিডেন্ট ইস্যুতে বিএনপি’র সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, বিএনপি তো বের হয়ে আপনাদের ব্রিফিং করেছে, সেটা তাদের জিজ্ঞেস করবেন, আমাদের তরফ থেকে আমরা একই কথা বার বার বলছি যে, রাজনৈতিক দল আমাদের অংশীজন তাদের সঙ্গে আমাদের অনেকগুলো সংলাপ হচ্ছে, এটা চলমান ডায়ালগ, সেটার অংশ। যদি কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হয় সেটা আমরা জানিয়ে দেবো। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার অসুস্থতার গুজব নিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রচুর কল পেয়েছি, প্রফেসর ইউনূসের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকে ইনকোয়ারি করেছেন। আমরা জানাতে চাই, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ভালো আছেন। প্রতিদিনই তিনি মিটিং করেন, তার ছবি দিচ্ছি আমরা। কালকেও অনেকগুলো মিটিং করেছেন। আজকেও তিনি বিএনপি’র সঙ্গে মিটিংয়ে ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জনাব সালাউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার থেকে চকরিয়া-পেকুয়া যাওয়ার সময় এস.আলম মাসুদ সাহেবের গাড়ি ব্যবহার করায় দল থেকে শোকজ করেছে। ভারতে থাকাকালীন সময়ে উনাকে মগজ ধোলাই করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ এতো বোকা নয়। সবকিছু বুঝে।
জনাব শাহাবুদ্দিন চুপ্পু আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রেসিডেন্ট। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পূর্বে এস. আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামি ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পক্ষান্তরে বিএনপির নেতা জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ গুম হওয়ার আগে এস. আলম মাসুদ সাহেবের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। এখন তিনি এস. আলম মাসুদ সাহেব এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে বলে মনে হয়।
বিএনপি দুটি কারণে শাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাহেবকে রেখে দিতে চায়। এক. সংকট উত্তরণে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিলে, ইতোমধ্যে দখলে নেয়া খাত সমুহে বিএনপির জন্য অসুবিধা হয়ে যাবে এবং নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। দুই. বিএনপি মনে করে নির্বাচনে তারাই ক্ষমতায় যাবে এবং একক পছন্দে রাস্ট্রপতি নির্বাচিত করবে।
রাষ্টপতির মোবা্ঃ কল লিষ্ট ট্রঅকিং করা হউক, গোপন ফোন আলাপ সব তথ্য জান যাবে।
থাকলে চুপ্পু জিতবে হাসিনা। এতো কেন ভয়? চুপ্পু কে ছাড়া দেশ অচল হয়ে যাবে? নতুন করে স্বৈরাচারের ডামাডোল দেখছি। শুধু চাঁদাবাজি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য একটা খোড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে দিলো বিএনপি।
হেড লাইন দেখে মনে হলো রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করেছেন, কেন যে এমনটা মনে হলো।
বি এন পি’র জৈষ্ঠ নেতা জনাব নজরুল ইসলাম খাঁন, জনাব আমির খসরু মামুদ,জনাব সালাহ উদ্দিন আহমদ-ওনারা প্রাজ্ঞ রাজনীতিকের ভূমিকা পালন করলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশের ক্রান্তি লগ্নে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতিকে সরাবার মত কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত গোটা দেশেকে একটি চরম জটিল পরিস্থিতির দিকেই ঠেলে দিতে পারে-যার সমাধান রাজনীকিদের হাতে থাকবেনা ! গণতািন্ত্রিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া হতে পারে সুদূর পরাহত !
সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নিবে এই জুজুর ভয়ে বিএনপির এখন চুপ্পুকেই পছন্দ কি বিচিত্র সমঝোতা ?-মতি ভাই শুরু মতি ভাই ই শেষ।বাংলা ভিষন টক শো ফ্রন্ট লাইন দেখলাম।
রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করলে তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা থাকেনা। এখনই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করা উচিৎ।
দেশে একটি গনঅভ্যুত্থানের পর কি আদালতের রায়ে খায়রুল হকের সংবিধান থাকে?কিসের সংবিধান? কার সংবিধানের দোহাই দেয়া হচ্ছে? বর্তমান সরকার কি খায়রুল হকের সংবিধানে শপথ নিয়েছেন? রাষ্ট্রের মালিক এখন জনগণ। আইনের রক্ষক সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে ড.ইউনুসের সরকার আইন সম্মত সরকার।জনগণের কল্যানকর জনবান্ধব সংবিধান নতুন করে রচিত হবে।এটাই গনঅভ্যুত্থানের রেওয়াজ।গণ-আন্দোলনের মুখে সরকার প্রধানের পালিয়ে যাওয়া পর কোন দেশে সংবিধান, পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক হয়নি।আমরা হুজুগ আর বুজুখোরের জাতি বলেই আজ এই সংকট বলে প্রচারণা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে কি হবে?? মৃত্যুতো আল্লাহ নির্ধারিত।
জুলাই আগষ্টের ধীনতার লালন এবং মুজিববাদী বাকশালকে প্রতিনিধিত্বকারী সংবিধানের আনুগত্য পালন পরস্পর সাংঘর্সিক। রাজনৈতিক স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে ২৪ পরবর্তী স্বাধীনতার চেতনাকে লালন করতে না পারলে জনগন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোকেই আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেয়া উচিৎ।
গুজবে কান না দিয়ে দেশটিকে পরিচালনা করেন, আর বিরোধী মতের জন্য প্রশাসনিক কাটমো শক্তি শালী করেন। ছাত্রদের মিশিল জমায়েত বন্ধ করে, ক্লাশে ডুকার পরিবেশ গঠন করেন।আইন প্রয়োগকারীদের হাতে আইন শক্ত রাখার ব্যবস্থ দেন, গত সরকারের দোসরদের চিহ্নিত করে দেশকে শান্তিতে করেন।যত তাড়াতাড়ি পারেন নির্বাচিত সরকার দেশে আনেন, নতুবা দোসরা বিভিন্ন পয়েন্টে বসে আছে, যে কোন সময় কাল নাগীনির ছোবল মারার চেষ্টা করতে পারে। ধন্যবাদ সকলকে।
বর্তমান সরকার বিল্পবী সরকার সাংবিধানীক সরকার না। তাই সংবিধান মানার কিছু নেই। চুপ্পু তো চুপ থাকছেনা ষড়যন্ত্র করছে।
কোন একটা দল বিরোধিতা মানে সবাই বিরোধিতা করা নয়। সব কাজেই বিশেষ একটা বিরোধিতা করছে। তাদের ভুলের খেসারত ১৫ বছর দিতে হয়েছে। দলটির কোন রাজনৈতিক বিচক্ষণতা নাই। ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্ত বাঘের মত আচরন করছে। আওয়ামী লীগের মত জনগন জনগন করছে। সুতরাং এদের কর্মকান্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।
আত্মমর্যাদাবোধ থাকলে chuppu সাহেব আরো আগেই resign দিতো। উনার আত্মমর্যাদাবোধ নাই।
চুপ্পুর দুর্নীতির ফিরিস্তি বলে শেষ করা যাবে না। কি লাভ হল এত গুলো জীবন দিয়ে। সব খানেই দেখি স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে। আমাদের কপালে ভাল কিছু নেই,সেই ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি যে লাউ সেই কদু।
BNP যদি মুজিবের সংবিধান জন্যে কান্না কাটি করে তাহলে BNP অবস্থা হবে আওয়ামীলীগ এর মত.
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু শেখ হাসিনার বিশেষ পছন্দের ব্যক্তি এবং আওমীলীগের দলীয় শপথবদ্ধ কর্মী। ইতিপুর্বে তার কোন কাজই জনগনের কল্যানে ছিলোনা ছিলো শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদি শাসন টিকিয়ে রাখার পক্ষে ---- উনি৷ সামনে কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবেননা তার গ্যারান্টি কি ---- তিনি পদত্যাগ করলে কোন সংকট তৈরি হবেনা। বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে অস্থায়ী রাস্ট্রপতি করে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করে যেতেতো কোন বাধা নেই ---
জামাত এখন নিশ্চুপ, কারণ জামাত কখনই বিপ্লব করেনি, প্রথমেই ভুল করে গেছে, বিপ্লব সংবিধান মেনে হয় না,
বাংলাদেশে ৫ই আগস্ট থেকে ৮ ই আগস্ট উপদেষ্টার শপথ গ্রহণে আগ পর্যন্ত কে সরকার ছিল এটা কি সাংবিধান শূন্যতা তৈরি হয়নি
তেইলেতো হাচিনা খেদানো ও সংবিধান বিরোধী আছিলো?
যেটাই করা হোক না কেন, আমরা আমাদের মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব ও শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। দাবি দাবি দাবি, আল্টিমেটাম আল্টিমেটাম, রাজপথ অবরোধ --- এই সব বিষয়ে সরকারকে কোঠুর হওয়ার আহ্বান জানাই।
প্রেসিডেন্ট কে সরিয়ে অন্য কাউকে বসাইলে তো কোন সংকট থাকে না। আপনি ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ করলেন, আবার ছাত্রলীগের নেতাকে প্রেসিডেন্ট রাখলেন। উনি কি বিপ্লবী দেরকে ধ্বংস করবে না? এখনো সময় আছে চুপ্পু কে সরিয়ে দেয়া হোক। নাহলে বিপ্লবী সরকার বিপদে পড়বে।