বাংলারজমিন
আব্দুস শহীদের গ্রেপ্তারে শ্রীমঙ্গলে আনন্দ মিছিল
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৯:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন
সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে শ্রীমঙ্গলে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মহসিন মিয়া মধুর বাসভবনের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনা চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য দেন, শ্রীমঙ্গল পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলকাছ মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল গফুর, যুবনেতা মুরাদ হোসেন সুমন, ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন রাজ, রুহেল মিয়া, শাহাদাত হোসেন আকাশ প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার আজাদ, বিএনপি নেতা টিটু দাস, ভুট্টু মিয়া, মোবারক হোসেন, আব্দুর রহমান খান কামাল পাশাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মো. তাজ উদ্দিন তাজুর নেতৃত্বে পৃথক আরেকটি ব্যানারে বেলা ২টার দিকে শহরে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের স্টেশন রোড, হবিগঞ্জ রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে 'ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই-ভোট চোরা শহীদের ফাঁসি চাই', এই মুহুর্তে খবর এলো শহীদ চোরা ধরা খেলো,' ইত্যাদি শ্লোগানে মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী, সহসভাপতি আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন তাজু, সাবেক পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোচ্ছাব্বীর আলী মুন্না, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহী উদ্দিন জারু, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন প্রমুখ। উভয় মিছিলোত্তর সমাবেশে বিএনপি, অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বিগত ৩৩ বছর ধরে শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জে নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ প্রদানকারী। বিগত দুই যুগের বেশি সময় এমপি ও কৃষি মন্ত্রী থাকার সুবাদে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। অবৈধ হাসিনা সরকারের আমলে তিনি ভোট চুরির মাধ্যমে বারবার এমপি নির্বাচিত হয়ে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ক্ষমতার দাপটে তার নির্দেশে বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল-জুলুমসহ দিনের পর দিন হয়রানি করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ লুটপাট করেছেন। তার এসব দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন ও হত্যা মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।