বাংলারজমিন
শ্রেণিকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন প্রধান শিক্ষক
সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবারনোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পছন্দমতো শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের ভবনে পরিবার নিয়ে বসবাস করায় শিক্ষার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বিব্রত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আবিরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভবনের তৃতীয়তলাকে নিজের মতো ফ্ল্যাট বাসা বানিয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষকের বাড়ি বিদ্যালয়ের কাছে হওয়ায় তিনি দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস করে আসছেন। বিদ্যালয়ে গৃহস্থালি পরিবেশ তৈরি করে রীতিমতো নিজের ঘর বানিয়ে রেখেছেন তিনি। তার এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা বিব্রত হচ্ছেন।
আরও অভিযোগ রয়েছে- তিনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পিয়ন বলে আলোচিত ও বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মিলে প্রায় ৫ জন শিক্ষক ও নৈশপ্রহরীকে কোনো ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। আর এই নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিতে জড়িত থাকায় অত্র এলাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার চেয়ে রাজনৈতিক চর্চা বেশি হচ্ছে। এতে শিক্ষার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে ও সামাজিক অপরাধ বাড়ছে।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য খোরশেদ ভূঁইয়া জানান, সভাপতি জাহাঙ্গীর ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা মূলত একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী যাদের নিয়োগে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে। আর ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ছাড়ায় পছন্দের লোকদের নেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করেন। বসবাসের বাসা ভাড়া ও বৈদ্যুতিক বিল বিদ্যালয় থেকে কেন পরিশোধ করা হয় তার কোনো উত্তর দেননি তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন জানান, ‘শ্রেণিকক্ষ দখল করে কোনো শিক্ষকের বসবাস করার সুযোগ নেই। যদি ম্যানেজিং কমিটি থাকার সিদ্ধান্ত দিলে অবশ্যই বাসা ভাড়া ও অন্যান্য বিল পরিশোধ করেই থাকতে হবে। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, বিষয়টি তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনলেও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে এলাকাবাসী গত কিছুদিন আগে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার ও ব্যানারের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাজই হচ্ছে চেয়ারে বসে ঘুমানো, তবে কোন অভিযোগ এলে কষ্ট করে দেখেন। ফলাফল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অশ্বডিম্ব!!!
শিক্ষকদের বদলী অথবা বাড়িভাড়া না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা যাবে কোথায়?আগে শিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে তারপর অন্য ব্যবস্থা।
....... তাহলেই বুঝুন শিক্ষকরা কেন আজ সম্মান হারিছেন........
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কি লিখিত অভিযোগ পাওয়া ছাড়া ব্যবস্থা নিতে পারবেন না! এ রকম ভাষ্য তো স্বৈরাচার আমলের পুলিশ রা দিত। অপরাধ তো অপরাধ ই। এটার সাথে অভিযোগ পাওয়া না পাওয়ার সম্পর্ক কি?