বাংলারজমিন
কানাইঘাটে ভাঙনের মুখে সুরমার তীর
মুফিজুর রহমান, কানাইঘাট (সিলেট) থেকে
৮ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবারসিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ৮ স্থান সুরমা নদীর ভাঙনের শিকার। বিশেষ করে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ঝিংগাবাড়ী দলইমাটি গ্রাম সংলগ্ন দেড় শতাধিক বছরের পুরাতন ঝিংগাবাড়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসার পুরাতন ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ মাদ্রাসা বৃহত্তর পূর্ব সিলেট তথা উপমহাদেশের প্রাচীনতম মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটির পুরাতন ভবনের কিছু নিদর্শন এখনো রয়েছে যা দেখলে অনুমান করা যায় কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে নদীভাঙনে। এখন ঝুঁকিতে রয়েছে দুইটি ভবনসহ ঝিংগাবাড়ী পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গ্রামের বসতঘর। এ গ্রামের সমাজকর্মী শামীম আহমদ বলেন, ১২-১৫ বছর আগে নদীটি গ্রাম থেকে প্রায় কয়েক মাইল দূরে ছিল। আর এখন নদীটি গ্রামের বৃহৎ অংশ গ্রাস করে ফেলেছে। গত কয়েক বছরে সুরমা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। প্রতি বছর নদীর তীরবর্তী হাজারো হেক্টর জমি বিলীন হয়ে যায়। এতে নদীতীরে বসবাসকারী মানুষ গৃহ-ভূমিহীন হয়ে তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী মাহবুব আলম বলেন, এখানকার নদীভাঙন রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তির কাছে এলাকার লোকজন ধরনা দিয়েছেন কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর বলেন, ৮ টি স্পটে নদীভাঙন রয়েছে। গাছবাড়ী বাজার, চলিতবাড়ী, দর্জিমাটি, ভাড়ারীমাটি, পাত্রমাটি, দলইমাটি, কোনা, মুকিগঞ্জ বাজারসহ এখানকার জনগণ নদীভাঙনের কবলে রয়েছেন। প্রায় প্রতি বছর নদীভাঙনে এসব এলাকার লোকজনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানাই, আমার ইউনিয়নের নদীভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য।