খেলা
‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মৌসুম কীভাবে শেষ হয়’, বেলগ্রেড জয়ের পর বার্সা কোচ
স্পোর্টস ডেস্ক
৮ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবারহ্যান্সি ফ্লিকের হাত ধরেই অদম্য গতিতে ছুটছে বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের রক্ষণের জন্য আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লীগ সবখানেই গোলবন্যা বইয়ে দিচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে ১৬ ম্যাচে বার্সার গোল সংখ্যা ৫৫ (ম্যাচপ্রতি ৩.৪ গোল)। লা লিগায় ১২ ম্যাচে ৪০ গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগে ৪ ম্যাচে ১৫ গোল। বুধবার রাতে রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষেও ৫ গোল দিয়েছে বার্সা। তবে সাময়িক সাফল্যে তৃপ্ত নন দলটির কোচ ফ্লিক, তার কাছে মৌসুমের শেষটা কীভাবে হয় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সার্বিয়ার বেলগ্রেডে বুধবার রাতে ৫-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। একটি করে গোল করেন রাফিনিজা, ইনিগো মার্টিনেজ ও ফের্মিন লোপেস। অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেন ডিফেন্ডার জুল কুন্দে। দুই অর্ধে স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন সিলাস ও মিলসন।
মোনাকোর মাঠে হেরে চলতি আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করে জিতল বার্সেলোনা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর এই প্রথম মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করলো কাতালান দলটি।
ম্যাচ শেষে দলের পারফর্মেন্সে খুশি হলেও দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যে চোখ রাখলেন ফ্লিক। তিনি বলেন, ‘আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। অনেক দল যাদের স্বপ্নটা একই (চ্যাম্পিয়নস লীগ জয়)। লক্ষ্যে চোখ রেখে প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে হবে আমাদের।’
ফ্লিক বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরের ম্যাচ জেতা। এটা নিশ্চিত যে বায়ার্ন ম্যাচের পর সবকিছুতে পরিবর্তন এসেছে। তবে আমরা কেবল শুরু করলাম। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কীভাবে মৌসুম শেষ করি।’ দলের এমন পারফরম্যান্সে মোটেও অবাক নন ফ্লিক। স্কোয়াডের তরুণ খেলোয়াড়দের ভূয়সি প্রশংসা করেন এই জার্মান কোচ। তিনি বলেন, ‘এখানে আসার আগে আমরা প্রতিপক্ষের পুরো দল নিয়ে আলোচনা করেছি, প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে নিয়েও। আমরা বুঝেছিলাম তাদের কোয়ালিটি ভালো। খেলোয়াড়রা বড় ভূমিকা পালন করছে, তারা আমাদের (কোচ) সাহায্য করছে। শুরুটা ভালো হয়েছে তবে আরও উন্নতি করতে হবে।,
এর আগে শুরুতে ৮০ শতাংশের বেশি পজিশন ধরে রেখে খেলা বার্সেলোনা এগিয়ে যায় ১৩তম মিনিটে। রাফিনহার ফ্রি-কিকে দূরের পোস্টে দারুণ হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ৩৩ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্টিনেজ।২৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে বেলগ্রেড। সতীর্থের পাস প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিলাস। ৪৩তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিহার শট পোস্টে লাগার পর কাছ থেকে জালে পাঠান লেভানডোভস্কি। ৫৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যান তিনি। ডান দিক থেকে কুন্দের পাস দূরের পোস্টে পেয়ে জালে ঠেলে দেন এই পোলিশ ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর স্কোরলাইন ৪-১ করে ফেলেন রাফিনহা। ৫৮তম মিনিটে রাফিনহার বদলি নেমে ৭৬তম মিনিটে জালের দেখা পান ফের্মিন। ৮৪তম মিনিটে ব্যবধান কমান বেলগ্রেডের মিলসন।