অনলাইন
ইতিহাসকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না: জামায়াত আমীর
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:০৮ অপরাহ্ন
ইতিহাসকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ‘ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই: অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত ৭ই ডিসেম্বর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শনী শেষ হয়। প্রদর্শনীটি জাতীয় জাদুঘরের হলে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৩৬ জুলাই আন্দোলনের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হয়ে ওঠে। এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে রক্তাক্ত জুলাই আন্দোলন ও শহীদদের আত্মত্যাগের গল্প, গণঅভ্যুত্থানের পরিণতি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সাহসী সংগ্রাম তুলে ধরা হয়।
শফিকুর রহমান বলেন, ইতিহাসকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না। ইতিহাসকে সামনে আনতে হবে, যাতে ভবিষতে বীরের জন্ম হয় এদেশে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫ই আগস্ট যে বিজয় দেখেছে গোটা জাতি, দলমত নির্বিশেষে তা সবাইকে হৃদয়ে লালন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, “বুকের ভেতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর”, “লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে”, “রক্তগরম, মাথা ঠাণ্ডা”-এমন সাহসী ও প্রেরণাদায়ক স্লোগান ধারণ করে যারা নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে ময়দানে নেমেছিল, তাদের সে সাহসী সন্তানদের যারা আমাদের অগণিত মা-বাবার বুকের টুকরোদের গুলি করে হত্যা করেছে, যারা গণহত্যা সংঘটিত করেছে, সেই সমস্ত হায়েনাদের এই বাংলার মাটিতে বিচার হবে, বিচার হতেই হবে। সে যে মাপেরই হায়েনা হোক, পালিয়ে যাওয়া, লুকিয়ে থাকা কিংবা বন্দি থাকা হোক, সবারই বিচার হবে। এটা বর্তমান সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পাটির্র (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তর জামায়াতের আমীর মো. সেলিম উদ্দিন, নারায়নগঞ্জ মহানগরের আমীর আব্দুল জব্বার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারী ড. রেজাউল করিম, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শামসুল আলম, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নুর খান লিটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলম, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কমিটির আহ্বায়ক, বিশিষ্ট শিক্ষক ও লেখক এবাদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন মনামীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।