খেলা
মিরাজ-নাঈমের ‘অস্বাভাবিক’ ব্যাটিংয়ে কাছে গিয়েও হার খুলনার
স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ২২ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ১০:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

দেড়শ রানের বেশি লক্ষ্য, প্রথম ওভারেই ইমরুল কায়েসকে হারালো খুলনা টাইগার্স। এরপর আরেক ওপেনার নাঈম শেখ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ শুরু করলেন সাবধানী ব্যাটিং। সেটা এত বেশি সাবধানী হয়ে উঠলো যে, দুজনেই টি-টোয়েন্টি নাকি ওয়ানডে খেলছেন সেটাই হয়তো গুলিয়ে ফেললেন। হাতে ৯ উইকেট নিয়েও মিরাজ-নাঈম নুন্যতম ঝুঁকি নিতেও যেন ভয় পেলেন। শেষে নাঈম যখন মারলেন তখন বড্ড দেরী হয়ে গেছে! যদিও শেষদিকে ম্যাচে রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত জয় পায় বরিশাল।
আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনাকে ৭ রানে হারিয়েছে বরিশাল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৫০ ও রিশাদ হোসেনে ১৯ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে ১৬৭ রান করে বরিশাল। জবাবে ১৬০ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস। শেষদিকে ঝড় তোলা নাঈম খেলেন ৫৯ বলে ৭৭ রানের বৃথা ইনিংস! অথচ শুরুর দিকে একের পর এক বল ডট দিয়ে গেছেন অনায়াসে!
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। এরপর শুরু হয় মিরাজ-নাঈমের শম্ভুক গ্রির ব্যাটিং। পাওয়ার প্লে শেষে মিরাজ ১২ বলে ৭ আর নাঈমের নামের পাশে ছিল ২২ বলে ২১। এরপর পরপর দুই ওভারে চার ও ছক্কা মেরে মিরাজ স্ট্রাইক রেট বাড়ান। কিন্তু যে ওভারে বাউন্ডারি মেরেছেন ওই ওভারে বাকিগুলো থেকে আসেনি রান, নেননি কোনো ঝুঁকি।
১ উইকেট হারানো দলটি ১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে জমা করে মাত্র ৬৪ রান। ১১তম ওভারে আউট হওয়া মিরাজ করেন ২৯ বলে ৩৩ রান। এর ২৪ রান আসছে বাউন্ডারির ৫ বল থেকে। বাকি ৯ রান করতে খেলেন ২৪ বল! অথচ এই দলে অ্যালেক্স রস, উইলিয়াম বোসিস্টোর মতো ব্যাটাররা আছেন। তাদের বসিয়ে মিরাজ নেমেছিলেন ৩ নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।
১৫ ওভারে খুলনার সংগ্রহ ছিল ৯২ রান। তখনও নাঈম নিষ্প্রভ, নামের পাশে ৪৪ বলে ৩৫ রান! ৫ ওভারে প্রয়োজন ৭১ রান। এরপরই আচমকা ঘুম ভাঙে নাঈমের। ১৬তম ওভারে টানা চার ও ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার। অন্যপাশে তখন এসেই বাউন্ডারি হাকানো আফিফ। তিনিও ছক্কা হাঁকান ওই ওভারে। সবমিলিয়ে রিপন মন্ডলের করা ওই ওভার থেকে আসে ১৮ রান।
এরপর আফিফ যেন শট খেলার জন্য উইকেটের পিছনের অঞ্চল ছাড়া কোথাও খুজেই পাচ্ছিলেন না। ভাগ্যবশত বোলার আরও বাইরে করতে গেলে এতে একটা নো বল পান। কিন্তু ফ্রি হিটেও একই শট খেলতে গিয়ে মিস করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। নাঈম অবশ্য পরের বলে চার-ছক্কা মেরে স্ট্রাইক মেরে জাতে নিয়ে আসেন। কিন্তু ম্যাচের সর্বনাশ তো আগেই করে ফেলেছেন! ৪৯তম বলে পূর্ণ করেন ফিফটি, অথচ এটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরের ওভারে রান আউট করেন ডেথ ওভারে এবার খুলনার সেরা ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালানকে হারায় বরিশাল। এরপর মাহদুমউল্লাহ রিয়াদ একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৫ বলে ৫০ রান করেন। শেষদিকে ১৯ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও খেলেন রিশাদ। আর তানভীরের ব্যাট থেকে ৪ বলে ১২ রান। এতে দেড়শ হবে কিনা রান হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত ১৬৭।