বিশ্বজমিন
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে তাদের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছে এখনই তা বলতে রাজি নয় দিল্লি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠকে জয়শঙ্করের সঙ্গে মিলিত হন রুবিও।
বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির ওপর জোর দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতীয় দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জয়শঙ্কর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওটি পোস্ট করেছেন জয়শঙ্কর নিজেই। যা পরবর্তীতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রচার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রুবিওর সঙ্গে জয়শঙ্করের মধ্যকার বৈঠকের নানা বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
সেখানে এক নারী সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা জানতে চাইলে জয়শঙ্কর বলেন, হ্যাঁ এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে এখনই প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
এদিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেকের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে গঠিত চার দেশীয় জোট কোয়াডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। এসব বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর জোর দেয়ার কথা জানিয়েছে ভারত।
এছাড়া মঙ্গলবার মার্কো রুবিওর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে অংশীদারত্ব জোরদার করার অভিন্ন প্রতিশ্রুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মার্কো রুবিও ও এস জয়শঙ্কর বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়, যুক্তরাষ্ট্র–ভারত সম্পর্ক আরও গভীর করার বিভিন্ন সুযোগ, গুরুত্বপূর্ণ ও বিকাশমান প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সহায়তা, জ্বালানি এবং একটি স্বাধীন ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে দু'জনের কথা হয়েছে।
এছাড়া অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার জন্য ভারতের সঙ্গে কাজ করতে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আকাঙ্ক্ষার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি ‘অনিয়মিত অভিবাসন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পাঠকের মতামত
বাংলাদেশ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নাও। (দ্রুত দেশটি নিয়ে আলোচনা করো)
নরপিশাচ হাসিনার কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না ইনশাআল্লাহ। হাসিনা মানে ভারত, ভারত মানে হাসিনা
Why should India discuss with USA about Bangladesh? Did we appoint India?
আর কিছুই করতে পারবনা। ইনশাআল্লাহ
ভারত বাংলাদেশকে কত ভয় পাই তার একটা নমুনা, অনেক জালাবে বুঝা যাচ্ছে, প্রভুর কাছে গেছে, নিজেদের মুরোদ নাই, মিথ্যা প্রপাগান্ডi ছড়িয়ে কিছু করতে পারেনি তাই শেষ চেষ্টা করে দেখতেছে
লাভ নেই ইন্ডিয়া!!! বাংলাদেশ নিয়ে তোমাদের মনের কোন আশা পুরন হবে না ইনশাআল্লাহ!!!
Why India worried about Bangladesh!?