শেষের পাতা
ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্দেশে আদালতের স্থগিতাদেশ
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েই সেই দেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল করেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই নির্বাহী নির্দেশের বিরুদ্ধে একযোগে ২২টি মার্কিন প্রদেশ মামলা করে। এরই মাঝে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দিলো আদালত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছেন সিয়াটল আদালতের বিচারক জন কোহেনর। জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব না পাওয়ার নির্দেশিকাও আপাতত স্থগিত করে দিয়েছেন তিনি।
রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এমন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলো। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতের বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের পরই ডেমোক্রেট শাসিত রাজ্যগুলো দাবি করেছিল, এটি মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর পরিপন্থি। এ ছাড়া এই সংক্রান্ত ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট আগেও একাধিক রায় দিয়েছে যাতে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া একটা শিশুর অধিকার, তা তার বাবা-মায়ের অভিবাসন স্ট্যাটাস যাই থাকুক না কেন।
এই আবহে সিয়াটলের বিচারক ট্রাম্পের নির্বাহী অর্ডারকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেন। বিচারকের এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার দেয়া নির্বাহী আদেশের পক্ষে লড়াই করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও। নির্বাহী আদেশটি সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই আদেশে মার্কিন সংবিধানের ‘সঠিক ব্যাখ্যা’ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিস মায়েস বলেন, কোনো প্রেসিডেন্টই নিজের ইচ্ছামতো সংবিধান পরিবর্তন করতে পারেন না। আদালতের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তা নিশ্চিত হলো। ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশটি আমেরিকার সঙ্গে যায় না। উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেয়া শিশুরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পেয়ে আসছেন। সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে।
পাঠকের মতামত
ট্রাম্প বদ্ধ উন্মাদ। এই আইন বলবত হলে আমেরিকার 90% লোক, যারা পেনশন ভোগী তারা ও এমনকি ট্রাম্প নিজেও নাগরিকত্ব হারাবে।