প্রথম পাতা
পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে জনগণ হতাশ হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, জনগণ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং নাহিদ ইসলামের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের কারণে আশাহত হয়েছে। তারা আশঙ্কায় থাকে সেনাশাসন চলে আসা নিয়ে। এ ধরনের পরস্পর বিরোধিতা দেশের সার্বিক কল্যাণের জন্য ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি না। সেটি আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা- সব ক্ষেত্রে। রাজনৈতিক ঐক্য যেটি আগে ছিল সেটি যদি কোনোভাবে অস্থিতিশীল হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কথা চিন্তা না করে নিজেদের কথা ভাবেন তাহলে মানুষ হতাশ হবে। ইতিমধ্যে হতাশ হওয়ার মতো অনেকগুলো বিষয় সোসাইটিতে তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, নাহিদ ইসলাম তার স্ট্যাটাসে অনেক কিছুই বলেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বিএনপি এবং জামায়াতের অনেক লোক রয়েছেন। জামায়াত পুরো বিষয়টি নিয়েই চুপ। কিন্তু বিএনপি তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে ছাত্রদের অপজিশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে ছাত্রদের নতুন দল গঠন নিয়ে খুব বেশি নেগেটিভ কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু নাহিদ ভাই যেটা বলছেন সেটি হচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকার বলতে বিএনপি যদি ১/১১-র মতো চাপ দেয় এবং সরকারে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগের কথা বলে তাহলে বিষয়টি এক ধরনের ডিক্টেট (আদেশ) করা। নির্বাচনের সময় সরকারে থাকলেই তারা তো কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না। আর সরকারে যে ছাত্ররা যাবে তখন তো এই বিষয়ে সবাই একমত হয়েছিল। তখন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ছাত্ররাই ফ্রন্টলাইনে ছিল। এখন সময়ে সময়ে যদি শর্ত পরিবর্তন হতে থাকে তাহলে সেটি আমাদের দেশের জন্যই খারাপ হবে।
রাজনৈতিক দল ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পাল্টাপাল্টি আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে সুযোগ করে দেয় কি না- এমন প্রশ্নে উমামা বলেন, সোসাইটিতে এখনো পর্যন্ত মানুষ আওয়ামী লীগের বিপক্ষে আছে। মানুষ চায় আওয়ামী লীগের বিচার। কেউ যদি আওয়ামী লীগের বিচার করতে না দেয় তাহলে সেটি অবশ্যই সামনে তুলে আনা উচিত। ছাত্রপ্রতিনিধিদের মধ্যে যারা সরকারে আছেন তারা তো আরও ভালো করেই জানেন যে কারা আওয়ামী লীগের বিচার চায়, আর কারা চায় না। আমরা মাঠের শক্তি হিসেবে একভাবে দেখছি আর তারা সরকারে থেকে অন্যভাবে দেখছে। বিষয়গুলো সবার সামনে পরিষ্কার করাই ভালো আওয়ামী লীগের বিচার কেন তারা দ্রুতগতিতে করতে পারছেন না। আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বিষয়ে যথাযথ উত্তর থাকা দরকার। আইসিটি যেভাবে আগাচ্ছে তাতে বিচার সময়মতো হওয়া নিয়ে সন্দেহ থাকে। অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ে যে মামলা-বাণিজ্যগুলো হচ্ছে তার জন্য বিএনপিকে দায়ী করা উচিত বলে মনে করি। এই মামলা-বাণিজ্য যে তারা থামাতে পারলেন না দলীয়ভাবে সেটির দায়-দায়িত্ব অবশ্যই তাদের নিতে হবে। একইসঙ্গে এটির জন্য সরকারেরও দায় আছে।
পাঠকের মতামত
জনগন বড় ২ দলেরই শাসন দেখছে এবং উন্নয়ন দেখছে..! আবার এই সরকারের কাজও দেখতেছে.. সারা বিশ্ব থেকে যেভাবে ডঃ ইউনুস স্যার কে সাপোর্ট দিচ্ছে এবং বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে, দেশ স্বাধীনের পর এমন দেখা যায় নাই.., দেশে দুর্নিতও বন্ধ হইছে.. উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে..। দয়াকরে আসুন সবাই সবাই দেশ গড়ার কাজে হাত দেই। রাজনৈতিক সরকার সবসময় নিজের স্বার্থ দেশের না, জনগনের না..! তাই আসুন নির্বাচন নির্বাচন জিকির বন্ধকরে দেশ গড়ার কাজে এই সরকার কে সাপোর্ট করি.. মনেরাখবেন, ৫৩ বছর পর এমন সুযোগ আসছে… এইটা যদি কাজে না-লাগাতে পারি তাহলে আর কবে সুযোগ আসবে তা কিন্তু অজানা.. । তাই হাত জোড় করে সবাইকে বলছি, দয়াকরে, আল্লাঅয়াস্তে বিবাদে নাজাড়িয়ে একজোট হয়ে দেশ গড়ি, প্রতিবেশী দেশের ষড়যন্ত্র নস্যাত করি।
জনগন ভোটারবিহীন আর কোন নাটকের সরকার গ্রহন করবেনা, জনতা জলদি একটি সুষ্ঠ নির্বাচন চায়। বিএনপির সকল দাবী ও যুক্তি ১০০ সঠিক, বিএনপি এ দেশের জনগনের একটি সর্ব বৃহত্তর দল। এই দলটিকে নানান উপায়ে বহিঃশত্রুরা এতদিন দুর্বল করে রেখেছিলো। দেশের প্রয়োজন মুহুর্তে বিএনপির ভুমিকা খুব জরুরী, কেউ নিজেকে বড় মনে করে বিএনপির সাথে বিরোধে জড়িয়ে দেশের শত্রুর পক্ষভুক্ত হয়ে বিভাজনের রাজনিতী শুরু করবেন না। দেশের অস্থিতীশীলতার সুযোগ নিয়ে শত্রুরাষ্ট্র যেন আমাদের আর কোন নতুন সর্বনাশ ঘটাতে না পারে সেইদিকে সকল দেশপ্রেমিকের দৃষ্টি দেয়া অতিজরুরী।