প্রথম পাতা
নির্বাচন করতে হলে পদত্যাগ করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য অযৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎকারের পর অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন করতে পারবেন না।’ তার এই সাক্ষাৎকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে।
এ প্রসঙ্গে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে অযৌক্তিক কিছু দেখি না। মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে বেরিয়ে এসে তা করা উচিত হবে। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছি। আপনি সরকারের থেকে বিএনপি’র বিরুদ্ধে বক্তব্যে দেবেন। আবার দল গঠন করে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবেন, তাহলে তো নিরপেক্ষতা হলো না। সুতরাং নির্বাচন করতে হলে পদত্যাগ করতে হবে।
বিএনপি যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বলেও জানিয়েছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
পাঠকের মতামত
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাহেব আওয়ামী লীগ পরিবারের (শেখ সেলিম) খুবই ঘনিষ্ট আত্মীয়। ৫ আগস্ট এবং এর পূর্ববর্তী সময়ে উনাকে বাংলাদেশে দেখা যায়নি। তখন তিনি ছিলেন দাদাবাবুদের দেশে। জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিষোদাগার করা বিএনপির বর্তমান নেতাগুলোর মধ্যে তিনি একজন। এই মানুষগুলোর জন্য বিএনপি-কে অনেক মূল্য দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কি পদত্যাক করার পরে BNP গঠন করেছিলেন? তাও নিজেদেরকে kings Party মনে করেন না কেন?
টুকু সাহেবের কথা সঠিক। রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন করতে হলে ৩ জন উপদেষ্টারই পদত্যাগ করতে হবে।এটাই বাস্তবতা। এর বাহিরে তো আলাপ করার প্রয়োজন নেই। আর আমাদের দেশের বাস্তবতা যে যাই বলুক ক্ষমতা ছাড়া যাবেনা।আসলে কেউ সাধু নয় সবিই ধান্দায় আছে
আওয়ামীলীগ এজেন্ট টুকু সাহেব। এটা কি জাতিকে নতুন করে জানাতে হবে?
আমাদের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বক্তব্য এমন যে আমি যা বলি সবই সঠিক বাকিরা যা বলে সব বেঠিক
আপনার সাথে আওয়ামী লীগের সখ্যতা অনেক পুরানো, জাতি জানে।
হ্যাঁ, নির্বাচনে দাঁড়াতে চাইলে তারা সরকার থেকে পদত্যাগ করবে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতিবিদরা কোন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বন্ধ করতে রাজি হচ্ছেন? নির্বাচনের আগে? নাকি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়ার পর?