ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ শাবান ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

তিন ইস্যুতে সন্দেহ বাড়ছে বিএনপিতে

অনলাইন ডেস্ক

(২ সপ্তাহ আগে) ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

mzamin

যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘তিন ইস্যুতে সন্দেহ বাড়ছে বিএনপিতে’। খবরে বলা হয়, ‘অপ্রয়োজনীয়’ সংস্কার প্রস্তাব, গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ও নতুন দল গঠন-এই তিন ইস্যুতে সন্দেহ বাড়ছে বিএনপিতে। সম্প্রতি সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য এবং সরকারের এক উপদেষ্টার পালটা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্যের পেছনেও তিনটি ইস্যুর প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন নেতারা। দলটির ভাষ্য, যে কোনো নতুন দল এলে নেতারা স্বাগত জানাবেন। কিন্তু সরকারের ‘আনুকূল্যে’ কোনো দল গঠন হলে তাতে আপত্তি থাকবে। এসবের পেছনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার যোগসূত্রও থাকতে পারে বলে তারা ভাবছেন।

এ ছাড়া ইস্যুগুলো যারা সামনে আনার চেষ্টা করছেন বিএনপির সন্দেহ মূলত তাদের ঘিরে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং নতুন দল গঠনের বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ব্যাখ্যা চাইবে বিএনপি। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত সংলাপের ওপরও জোর দিচ্ছেন দলের নেতারা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিএনপি শুরু থেকেই এ সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছে বলে মনে করেন নেতারা। তারা কখনোই বলেনি সংস্কার চায় না। বিএনপি বলেছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন, যা এখন সব রাজনৈতিক দলও চাইছে।

কিন্তু বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের অনেক ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রস্তাব, এতদিন পর গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ এবং নতুন দল গঠন-এসব একই সূত্রে গাঁথা বলে নেতারা মনে করছেন। এর পেছনে তারা নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টা দেখছেন। কাজেই তারা দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চান। সম্ভব নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না দিলে কর্মসূচি দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। নেতাদের মতে, দ্রুত নির্বাচন না হলে সংকট আরও বাড়বে। ফ্যাসিবাদের পতন হলেও দেশ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করতে তাদের দোসরদের নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এর বাইরেও দেশে বিতর্ক সৃষ্টির নানা চেষ্টা আছে। এর আগে সংবিধান বাতিল করার দাবি এসেছে। কেউ কেউ বিদ্যমান সংবিধানকে ছুড়ে ফেলার কথা বলেছে। এর পরপরই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। রাজনৈতিক মতৈক্য না হলে এটিও এক ধরনের বিতর্ক-বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন দল গঠন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব ঠিক কথাই বলেছেন। সরকারের ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক দল গঠন হবে সরকারের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এতে মানুষের মনে সন্দেহ জাগবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ যত সামনে আসবে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের অবস্থান ততই পরিষ্কার হবে। কাজেই রাজনৈতিক বিভেদ আরো বাড়ার আগেই প্রয়োজন সমস্যা সমাধানে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা এবং তা দ্রুতই ব্যবস্থা করা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ভারতের দোসর এই আওয়ামী লীগ, তাদের দিকে যারা বিএনপিকে ঠেলে দিতে চায়, আমি বলব তারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। দেশবাসীকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বিএনপিকে যারা ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন, এটার পরিণতি কিন্তু ভালো হবে না। বরং দেশটাকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা উচিত। কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘একটি দল আছে, নাম বলব না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা পাগল হয়ে গেছে। তারা এমন ভাব করছে, তারা যেন কিছুই জানে না। সুযোগ পেলেই বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তারা কারা এসব জনগণ জানে।’

প্রথম আলো

‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন সুপারিশ দিয়েছে। ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রশ্নে বিএনপিসহ সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো এবং অংশীজনদের কোনো দ্বিমত নেই। তবে কীভাবে সেই ক্ষমতার ভারসাম্য আনা যাবে, সে ব্যাপারে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করতে চাইছে, সেখানে আলোচনা করে উপায় বের করার চেষ্টা থাকবে।

বিএনপি যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে সেই ভারসাম্য আনা যাবে, সে ব্যাপারে বিএনপি ও অন্য দলগুলো এখনো বিস্তারিত কিছু বলেনি। অবশ্য সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন সূত্র জানায়, তাদের বিস্তারিত প্রতিবেদনে বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ চলছে। এরপর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়বে। কমবে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা।

এখন প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রপতিকে অন্য যেকোনো কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী করতে হয়। সংবিধানের এই জায়গায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। কিছু সাংবিধানিক পদে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার কথা বলেছে তারা। এসব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে হবে না।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘মাঠের সব নিয়ন্ত্রণ চান ডিসিরা’। খবরে বলা হয়, আসন্ন জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তিন শতাধিক প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব ও সুপারিশ পাঠানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওই দিন তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যুক্ত থাকবেন। বিকেলে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অধিবেশনগুলো শুরু হবে। মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। তাঁরাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মাঠ নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

একজন ডিসি জেলার অন্তত ৩০২টি কমিটির প্রধান। এর পরও মাঠের আরো ক্ষমতা চান তাঁরা। ডিসিরা নতুন করে যে ক্ষমতা চাইছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা পুলিশের এসিআর দেওয়া, কনস্টেবল নিয়োগ কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধি রাখা, ডিসির অধীনে বিশেষ ফোর্স গঠন, অপরাধ ডেটাবেইস ও এনআইডি ডেটাবেইস সার্ভারে ডিসি ও ইউএনওদের প্রবেশাধিকার, উপজেলা পরিষদের কর্মচারী নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের বদলে উপজেলার সরকারি বাসা বরাদ্দের ক্ষমতা।

সমকাল

‘দাগি অপরাধীরা প্রকাশ্যে এসেই খুনোখুনিতে’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজধানীর পল্লবীর টেকেরবাড়িতে গেল সোমবার দিনদুপুরে ১০-১২  দুর্বৃত্ত মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু নামে এক যুবককে চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। বাবুর স্বজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এই হত্যায় কলকাঠি নাড়েন দাগি সন্ত্রাসী মুসা শিকদার ওরফে সুমন শিকদার। এ ঘটনায় মুসাকে প্রধান আসামি করে পল্লবী থানায় মামলাও করেন বাবুর স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্রসহ ১১টি মামলা রয়েছে।

২০২২ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসেন মুসা। এর পর সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে ফের দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অপরাধ জগৎ।

মুসার মতো অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এসেই ফের জড়াচ্ছেন অপরাধে। এতে বাড়ছে খুনোখুনি। চাঁদা ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাত ছাড়াও এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর হামলা করছে। স্থানীয়রা বলছেন, অন্তর্কোন্দলের ঘটনায় বাবুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাবুর বিরুদ্ধেও দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘রাজধানীর ৪৩২ স্থান ছিনতাইয়ের হটস্পট’। প্রতিবেদনে বলা হয়, কামরাঙ্গীরচরে ইতি জুয়েলার্সের মালিক সজল রাজবংশী। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সেকশন বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছালে একাধিক মোটরসাইকেলে সাত-আট জন এসে সজলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং তার বাঁ পায়ের হাঁটুতে গুলি করে। পরে তারা সজলের কাঁধে থাকা স্বর্ণের ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত সজলের দাবি, তার ব্যাগে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা ছিল।

কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি আমীরুল ইসলাম বলেন, ঐ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই অজয় রাজবংশী বাদী হয়ে একটি ডাকাতির মামলা করেছেন। ভিকটিমের দোকানে তিন জন কর্মচারী ছিল। আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশে থেকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করে পর্যবেক্ষণ করছি।

বর্ধিত নজরদারি এবং বিশেষ অভিযানের মধ্যেও রাজধানীর সড়কে রাতের বেলায় বেড়েছে ছিনতাইকারী আতঙ্ক। সাম্প্রতিক অপরাধের পরিসংখ্যান থেকে বলা হচ্ছে যে, ছিনতাইয়ের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, মুগদা, সবুজবাগ, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, রামপুরা ও বাড্ডা থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে।

বণিক বার্তা

‘মানব পাচার সিন্ডিকেট সব সরকারের আমলেই রেহাই পেয়ে যায়’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক অভিবাসীর উৎস তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি বছর বিদেশ পাড়ি দিচ্ছেন গড়ে অন্তত ১০ লাখ মানুষ। উন্নততর কর্মসংস্থান ও জীবিকার খোঁজে বিদেশ পাড়ি দিতে আগ্রহীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ সুযোগের ফায়দা নিতে গড়ে উঠেছে সক্রিয় সিন্ডিকেট। দালাল চক্রকে কাজে লাগিয়ে সংঘটিত হচ্ছে অবৈধ পথে কর্মী পাঠানো, মানব পাচারের মতো অপরাধ।

অনেক ক্ষেত্রে এসব অপরাধ ঘটছে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। পাচার হওয়া কর্মীরা বিদেশে গিয়ে শ্রমশোষণ, নির্যাতন এমনকি অপহরণ ও হত্যারও শিকার হচ্ছেন। এতে বিপত্তিতে পড়ছে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রফতানি খাত।

মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে প্রায়ই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে জনশক্তি আমদানিকারক দেশগুলো। বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ বছরে ওমান, বাহরাইন, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, মালয়েশিয়া, মিসর, রোমানিয়া, ব্রুনাই ও মালদ্বীপে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও গত বছর জুলাই থেকেই ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। একই সময়ে মালদ্বীপের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়াও নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য ভিসা গ্রহণের পথ রুদ্ধ করে দেয়।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘সংকট বাড়াচ্ছে অসাধু চক্র’। খবরে বলা হয়, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ এখনো সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক স্তরের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পেলেও মাধ্যমিকের অবস্থা নাজুক। মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে পাঠ্যবই হাতে পেয়েছে, বাকিগুলো আসেনি। এমন সংকটের মধ্যেও বই চলে যাচ্ছে কালো বাজারে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেতের বই বাজারে গিয়ে মিলেছে পাঠ্যবই। এ বই অবশ্য দুই ধরনের। একটি পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করা পাঠ্যবই, অন্যটি ছাপানো পাঠ্যবই।

পরিচয় গোপন করে এক সেট পাঠ্যবই চাইলে এক দোকানদার আগে দাম নির্ধারণের কথা বলেন। বই দেখতে চাইলে বলেন, আগে দাম ঠিক করুন, পরে ‘ভেতর’ থেকে এনে দেব। দাম কেমন এমন– প্রশ্নে তিনি বলেন, পিডিএফ সেট ২ হাজার ৫০০ আর ছাপানো বই ৪ হাজার টাকা।

নীলক্ষেতে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আসিফ মাহমুদের সঙ্গে। তিনি জানান, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের জন্য পাঠ্যবই কিনতে এসেছেন। অনেক দরদাম শেষে ৩,৮০০ টাকায় এক সেট ছাপানো বই কিনেছেন তিনি।

দেশ রূপান্তর

‘স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্যে ছন্দপতন!’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত ১৬ জানুয়ারির সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশবাসী যে ঐক্য দেখিয়েছিল, এই অন্তর্বর্তী সরকার তারই ফলাফল। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন আপনাদের দেখে আমার ভালো লাগছে এই ভেবে, আমরা এক আছি। এই সরকারের জন্ম ঐক্যের মাধ্যমে এবং ঐক্যই আমাদের শক্তি। যখন আমরা একা একা কাজ করি এবং হঠাৎ দেখি আপনারা আমাদের পাশে নেই, তখন আমরা দুর্বল মনে করি। যখন সবাই একসঙ্গে হন, তখন সাহস পাই।

প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের এক সপ্তাহ না যেতেই রাজনৈতিক দল ও উপদেষ্টা সমন্বয়কদের বিভিন্ন বক্তব্যে অনৈক্যের সুর বাজছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন সংস্কারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে ঐক্যে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় কি না। ঐক্যে চিড় ধরলে বিগত ফ্যাসিবাদীদের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হওয়ার পথ তৈরি হতে পারে।

গত মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যদি অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন কন্ডাক্ট (পরিচালনা) করা পর্যন্ত থাকবেন। তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’ 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status