অর্থ-বাণিজ্য
বছরের প্রথম দু’মাসে ৬৩ কোটি টাকার বীমা দাবি পোরিশোধ সোনালী লাইফের
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২০ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৫:২৮ অপরাহ্ন
চলতি বছরের প্রথম দু’মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বীমা দাবি পরিশোধে প্রায় ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটি মোট ৬৫ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম দু’মাসে ছিল ৩৯ কোটি টাকার মতো। দেশে চলমান অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও, গ্রাহকের বীমা দাবি সাত দিনের মধ্যে মিটিয়ে দেয়ার রেকর্ড অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের এই অন্যতম লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি।
কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে যথাক্রমে ৩১ কোটি ৭৬ লাখ এবং ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে, যা ২০২৪ সালের প্রথম দু’মাসে ছিল ১৯ কোটি ও ২০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে বীমা দাবি পরিশোধে ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ২০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সোনালী লাইফ। ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষে সোনালী লাইফ ৩৮০ কোটি টাকার বেশি বীমা দাবি পরিশোধ করেছে, জানান কোম্পানির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র ও বন্দর বিভাগ চট্টগ্রামে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পদচারণা দীপ্তিময়। কোম্পানির ২৩১টি শাখার মধ্যে প্রায় অর্ধেক শাখাই (১০৩টি) চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অবস্থিত, যেখানে প্রায় ২০,৯৮২ জন মাঠকর্মী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সোনালী লাইফের পলিসির মাধ্যমে জীবন বীমা সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন।
গত এগারো বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায়, ২০২৪ সালে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, সোনালী লাইফ গ্রাহকদের ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, বীমা দাবি এবং সাত দিনের মধ্যে মৃত্যু দাবি পরিশোধে অগ্রগামী হিসেবে পরিচিত।
ভোলা লালমোহনে মো. রাজিব ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি মাত্র ২ কিস্তি জমা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। মরহুমের নমিনী এবং স্ত্রী ইসরাত জাহান বলেন, “বীমার পূর্ণ দাবি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ টাকা ২ দিনের মধ্যে পরিশোধ করেছে সোনালী লাইফ।”
রাজিবের মতো হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সোনালী লাইফ আস্থার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে। এগারো বছরের দীর্ঘ পথচলায় গ্রাহক সন্তুষ্টি রক্ষা করে জীবন বীমা জগতে সোনালী লাইফ একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছে।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক শেখ মো. ড্যানিয়েল বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কাজ পরিচালনা, প্রিমিয়াম দেয়ার সহজ পদ্ধতি, আধুনিক ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ পরিচালনা, সঠিক সময়ে বীমা দাবি পরিশোধসহ অসংখ্য ইতিবাচক দিক রয়েছে যা সোনালী লাইফকে করেছে অনন্য ও অপ্রতিরোধ্য। সোনালী লাইফের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো গ্রাহকের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং তার ফলে অর্জিত প্রতিষ্ঠানটির উপরে গ্রাহকের সন্তুষ্টি। প্রতিটি গ্রাহকের বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করা সোনালী লাইফের অন্যতম মূল অঙ্গীকার।”
নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান আইডিআরএ-এর ২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ছয়টি জীবন বীমা কোম্পানি ৯৯ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বীমা দাবি পরিশোধ করেছে, যার মধ্যে সোনালী লাইফ ৯৯.১১ শতাংশ পরিশোধ করেছে। টাকার অঙ্কে সোনালী লাইফ সর্বোচ্চ ৩৮০ কোটি টাকা বীমাদাবি পরিশোধ করেছে এবং বাংলাদেশের শীর্ষ পারফর্মিং ৬টি কোম্পানির মধ্যে স্থান পেয়েছে।