খেলা
স্থানীয় কোচদের স্থায়ী নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি
স্পোর্টস রিপোর্টার
৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এতদিন স্থানীয় কোচদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাদের এবার স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়ার চিন্তা করছে দেশীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গতকাল মিরপুরে বোর্ড সভায় এ নিয়ে আলোচনা করেন পরিচালকরা। এ ছাড়া একই সভায় ২০২৩-২৪ মৌসুমের অডিট রিপোর্টও অনুমোদন দেন বোর্ড পরিচালকরা।
গত রোববার বিকালে এক ভার্চ্যুয়াল সভা ডাকেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে তিনি অডিট রিপোর্ট অনুমোদনের প্রস্তাব করেন। তবে তখন এটা পাস করতে অনুমোদন দেননি পরিচালকরা। এরপর গতকাল আবার সভা ডাকা হয় বিসিবি অফিসে। সেখানে অডিট রিপোর্টসহ ছাড়াও স্থানীয় কোচদের নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা করেন বোর্ড পরিচালকরা।
জেলা, বিভাগ থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এক, দুই বা তিন বছরের চুক্তিতে কোচ নিয়োগ দেয় বিসিবি। এখন থেকে সেটা স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে চায় তারা। এ প্রসঙ্গে বিসিবি’র এক শীর্ষ পরিচালক দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা স্থানীয় কোচদের নিয়ে আলোচনা করেছি। সবাই মত দিয়েছে এখন থেকে স্থানীয় কোচদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া উচিত। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আমরা আরও কয়েকদিন সময় নিবো। তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত এখন থেকে স্থানীয় কোচদের ক্ষেত্রে আমরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ থেকে সরে স্থায়ী নিয়োগের পথেই হাঁটবো।’ এ ছাড়া এদিন অডিট রিপোর্টও অনুমোদন দেন পরিচালকরা। তবে আপাতত অডিট রিপোর্টের ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এটির (অডিট) অনুমোদন দিয়েছি। তবে এখনই এটা বলতে পারছি না, এটা বলা ঠিক হবে না। প্রথমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে জমা দিতে হবে সেখান থেকে পাস হওয়া লাগবে। এরপর আবার এটা আইসিসিতেও জমা দিতে হবে। দুই জায়গা থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর আমরা ওয়েবসাইটেই এটা দিয়ে দিবো।’ অডিট রিপোর্ট অবশ্য চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে আরও দেরি হবে। আইসিসি ও রাজস্ব বোর্ডে পাস হলেও এটা চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম)। সেখানে জেলা ও বিভাগ থেকে সব কাউন্সিলররাও উপস্থিত থাকবেন। তাদের উপস্থিতিতেই এটির চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।
এদিন এই দুটো বিষয় ছাড়াও, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানো, জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নতুন অধিনায়ক ছাড়াও ডিপিএলের নানা বিতর্ক নিয়েও আলোচনা করার কথা ছিল। সব বিষয়েই টুকটাক আলোচনা হলেও সেটি দীর্ঘায়িত হয়নি। তখন মাঠেই ডিপিএলের অঘোষিত ফাইনালে লড়ছিল আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মূলত এই ঢাকা ডার্বির কারণেই মিটিং আগেভাগে শেষ হয়। ওই পরিচালক আরও বলেন, ‘আমরা আসলে সব বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছি। তবে কোচ আর অডিট নিয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে আর কি। মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ চলছিল, সবাই আসলে খেলাটা দেখতে চাচ্ছিল! এ কারণে আগেভাগে শেষ হয়েছে মিটিং। তবে খুব দ্রুত এটি নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবো।’
মিটিং শেষে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির হন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা তুলে দেন তিনি। তবে অনুষ্ঠান শেষে মিডিয়া এড়িয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান ফারুক। এর আগে গত রোববারও একটি করপোরেট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন শেষে মিডিয়া দেখে রীতিমতো রকেট গতিতে কৌশলে হোটেল ছেড়ে যান বিসিবি’র এই সভাপতি।