রাজনীতি
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে বিএনপি সঠিক মনে করে: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ৪:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে বিএনপি সঠিক বলে মনে করে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আনন্দিত যে, বিলম্বে হলেও গতরাতে (শনিবার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সকল সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী, ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। তবে আমাদের দাবি মেনে আগেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেয়ার মত বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে রাখবেন বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার হাতে দেয়া পত্রে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার’ দাবি জানিয়েছিলাম। ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও তার হাতে দেয়া পত্রে আমরা ‘পতিত ফ্যাসীবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার’ দাবি জানিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বার বার উত্থাপন করেছি। উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলো বিএনপি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ তাদের ভোটাধিকার তথা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য গুম, খুন, জেল, জুলুম সহ্য করেও অব্যাহত লড়াই করেছে। তাদের সেই দাবি এখনও অর্জিত হয়নি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
পাঠকের মতামত
বিএনপি' র মত দলের নেতার বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের সুবিধাবাদী মুনাফেকি চরিত্র দেশবাসীর সামনে পরিস্কার হয়ে গেল। তবে বারবার মুনাফেকি করে জনগণকে ধোকা দেওয়ার দিন শেষ।
বি এন পি এতোটা নিচে নামবে চিন্তা করতে কষ্ট হয়। এতোটা ভয় নিয়ে রাজনীতি করা যায়?কাল বলেছিলো এক কথা আজ বলে আরেক কথা
বিএনপির ১৭ বছরের ভয় এখনো কাটে নাই। আওয়ামী লীগ যদি আবার ফিরে আসে এই ভয়তে তারা রাস্তায় নামে নাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধদের জন্য। বিএনপি'র ঊর্ধ্বতন নেতা সবার মানসিক ডাক্তার দেখানো উচিত মনোবল বৃদ্ধির জন্য।
Mr.Amin আপনার এই বক্তব্য পাবলিক খায় না।
আপনাদের দাবীতে আওয়ানী নিষিদ্ধ ছিলোনা বরং আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ না করার পক্ষে অবস্থান ছিলো জাতির সাথে মিথ্যাচার করতে লজ্জা লাগেনা। বিএনপি'র কারণেই এই সিদ্ধাান্ত নিতে সরকারের এতো বিলম্বিত হলো। বিএনপি'র জন্যই সরকার বিব্রত অবস্থাায় পরেছে।
বিএনপির নেতাদের অনুরোধ করব কমেন্টস গুলো পড়েন। আর এই কমেন্টস গুলোতেই ফুটে ওঠে জনগণের মনের কথা।
Hemel এর সাথে সহমত পোষণ করছি এবং এটাই বাস্তবতা।
এই বিবৃতির প্রয়োজন ছিল না। বিএনপি সঠিক পথেই আছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপি কখনো দ্বিমত করেনি। তবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আদালতের ওপর ভরসা রাখতে চেয়েছে বিএনপি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করে সরকার বিএনপির দাবির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
খরগোশ ঘুমিয়ে পড়ল। কচ্ছপ তাকে অতিক্রম করে চলে গেল শেষ প্রান্তে। তখন খরগোশের হুঁশ হলো। সে দৌড়ে শেষ দাগে পৌঁছানোর আগেই কচ্ছপ সেখানে পৌঁছে গেছে। উপদেশ: স্লো অ্যান্ড স্টেডি উইনস দ্য রেস। ধীর কিন্তু স্থিরই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়।
আপনার এই সিদ্ধান্তহীনতা BNP কে ক্রমাগত গণ মানুষের আস্থাহীনতার দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। এখন থেকে প্রফেসর ইউনুস, এনসিপি ও জামাতের সাথে একমতে চলেন। সংস্কার কাজে সরকারকে পূর্ণ সহায়তা করেন আর নির্বাচনের গান বন্ধ করেন।
এখন সঠিক বলছেন, অথচ আপনারাতো নিষিদ্ধের পক্ষে ছিলেন না! দারুন পল্টি মারা জানেন।
এরা নাকি কানে কানে প্রধান উপদেষ্টাকে বলে এসেছিলো আঃলীঃ নিষিদ্ধ করতে। ভয়ে সাহস পায় নাই মানুষের মাঝে বলতে যদি আবার আঃলীঃ..........।
এরা ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময়েও এরকম করেছিল। ক'দিন আগেও বলতে শুনেছি অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন।এখন ঠেলায় পড়ে বাধ্য হয়েছে সহমত পোষণ করতে। এদের হাটুর জোর মানুষ বিগত ১৭ বছর দেখেছে।
অত্যন্ত বিচক্ষণ বিবৃতি। ধন্যবাদ।
বাতাসের দিকে পাল তুলে দেয়া সুবিধাবাদী মাঝি।
সেরা পল্টি!
বুঝলে চাচা কিন্তু এত দেরিতে ক্যান
সেই তুমি বুঝিলে তবে অনেক জ্বল ঘোলা করে৷! জনতাকে বুঝিয়ে দিলে তোমাদের দেওলিয়াত্ব !!
You are too late leader.
বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন দল বা সংগঠনের নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ সঠিক। তবে এর ব্যাপ্তি ৭১ থেকে সামনে আজীবন কাল পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম বহাল থাকবে বলে আশা করি।