খেলা
বোলারদের দায় দিয়ে লিটন বললেন, এখনো শেখার বাকি
স্পোর্টস ডেস্ক
(২ দিন আগে) ২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই। একই ভেন্যুতে গতকাল তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও ৭ উইকেটের হারে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারীরা। সাদা বলের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ১৯৬ রান করেও হারের গ্লানিতে ডুবেছে লিটন কুমার দাসের দল। ম্যাচ শেষে বোলিং বিভাগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে টাইগার অধিনায়ক বলেন, এখনও শিখতে হবে।
এদিন টসে জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচের চেয়ে ব্যাটিং বিভাগে অনেকটা উন্নতি দেখায় টাইগাররা। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে পুঁজি দাঁড়ায় ১৯৬ রানের। তবে বোলিং বিভাগে বরাবরের মতোই হতাশ করেছে ফিল সিমন্সের দল। মোহাম্মদ হারিসের ৪৬ বলে ১০৭ রানের ইনিংসে ১৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এর আগে প্রথম ম্যাচে কিছুটা লড়াই করলেও পরের ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পন করে বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন লিটন। দ্বিতীয় ম্যাচে শরিফুল ইসলামের চোটের পাশাপাশি ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা বলেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ ম্যাচে দলের ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে খুশি এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। তবে আঙুল তুললেন বোলিং বিভাগের দিকে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই.. আমরা ভালো বোলিং করিনি। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো করিনি। সম্ভবত এই ম্যাচে এই উইকেটে খুব ভালো ব্যাটিং করেছি।’ লিটন যোগ করেন, ‘এটি খুব ভালো উইকেট। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানকে কীভাবে বোলিং করতে হয়, তা আমাদের শিখতে হবে। একেক ব্যাটসম্যানের একেক রকম শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। আমাদের এসব নিয়ে ভাবতে হবে এবং সে অনুযায়ী বল করতে হবে।’
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় রানের ভিতটা গড়ে দিয়ে যান পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। দুই ওপেনারের জুটি থেকে আসে ৬৪ বলে ১১০ রান। স্বাগতিকদের মাঠে বাংলাদেশের এটিই প্রথম শতরানের জুটি। যদিও তানজিদ (৪২) আর পারভেজের (৬৬) পর ব্যক্তিগত ৩০ ছুঁতে পারেননি আর কেউ। দু’জনের ইনিংসের পর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান এসেছে অধিনায়কের (১৮ বলে ২৫) ব্যাট থেকে। তবে লিটন বলছেন, দুই ওপেনারের পাশাপাশি অধিকাংশ ব্যাটার নিজেদের কাজটা করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমন ও তামিম খুব ভালো শুরু করেছে। শুধু তামিম আর ইমন নয়, বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের কাজটা করেছে।’ পুরো সিরিজে একের পর এক হারেও গ্যালারি থেকে দুর্দান্ত সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ দল। সমর্থকদের কাছে তাই দুঃখও প্রকাশ করেছেন এই ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তিনি যোগ করেন, ‘অসাধারণ দর্শক ছিল, তারা সবাই সমর্থন দিচ্ছিল। আর বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’