খেলা
হাত দিয়ে গোল করে লাল কার্ড, রেফারির দিকে আঙুল তুললেন নেইমার
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ দিন আগে) ২ জুন ২০২৫, সোমবার, ২:৪১ অপরাহ্ন

প্রায় দেড় মাস পর গতকাল চোট থেকে একাদশে ফেরেন নেইমার জুনিয়র। তবে ব্রাজিলের শীর্ষ লীগ সিরি আতে বোতাফোগোর ম্যাচে সেলেসাও মহাতারকার প্রত্যাবর্তনটা মোটেই সুখকর হয়নি। হাত দিয়ে গোল করে লাল কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের রাজপুত্র।
এর খেসারত দিতে হয়েছে তার দল সান্তোসকে। ৭৬তম মিনিটে নেইমার লাল কার্ড দেখার মিনিট দশেকের মধ্যে একমাত্র জয়সূচক গোলে জিতে যায় বোতাফোগো। ম্যাচের পর নিজের প্রথম হলুদ কার্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারির দিকে আঙুল তোলেন নেইমার।
মাঠে ফিরতে এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড লড়াই চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। গত ১৭ই এপ্রিল ব্রাজিলিয়ান লীগে অ্যাথলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে চোটে পড়ে ছিটকে যান নেইমার। সান্তোসের ঘরের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে সেটি ছিল তার শততম ম্যাচ। এরপর রোববারই প্রথমবার সান্তোসের একাদশে নামেন নেইমার।
এদিন ঘরের মাঠে বিরতির বাঁশি বাজার আগেই প্রতিপক্ষের একজনকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। গোলশূন্য বিরতি থেকে ফিরে ৭৬তম মিনিটে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটি। সান্তোসের একটি আক্রমণ বোতাফোগো গোলকিপার জন ভিক্তর রুখে দিলেও নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। উল্টো বল চলে যায় ছুটে আসতে থাকা নেইমারের সামনে।
তার পায়ে লেগে শুয়ে থাকা গোলকিপারের ওপর দিয়ে বল চলে যেতে থাকে। পাশেই থাকা এক সফরকারী ডিফেন্ডার সেটিকে বিপদমুক্ত করার আগেই হাতের আলতো ছোঁয়ায় জালে পাঠিয়ে দেন নেইমার। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানান বোতাফোগোর খেলোয়াড়েরা। এ ঘটনায় রেফারি নেইমারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান।
ম্যাচে তখনও গোলশূন্য সমতা। তবে দশজনে পরিণত হওয়া সান্তসের বিপক্ষে ৮৬তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন সফরকারীদের ভিক্তর গিমারায়েস। ১-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দল। ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড মেনে নিয়ে নেইমার বলেন, ‘দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানোটা ঠিক আছে। তবে রেফারি তো প্রথম কার্ডেই তামাশা করেছে।’
শাস্তির পরিমাণ না বাড়ানোর অনুরোধে তিনি যোগ করেন, ‘এটি শুধুই আমার মতামত। দয়া করে আমাকে আর বাড়তি শাস্তি দেবেন না।’ হারের দায়টাও নিজের ওপর নিয়ে নেইমার লেখেন, ‘আজ আমি বাইরে না চলে গেলে নিশ্চিতভাবেই ওই তিনটি পয়েন্ট আমরা পেতাম। তিন পয়েন্ট না পাওয়ার দায় আমাকে দিতেই পারেন।’ এই হারে অবনমন অঞ্চলে থাকা সান্তোসের অবস্থা আরও করুণ হলো। ১১ ম্যাচে এই ঐতিহাসিক দলটির পয়েন্ট স্রেফ ৮।