× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চ্যালেঞ্জ করোনার ক্ষতি কাটানো- / নতুন বছরে ৪ আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট চালু করবে ইউএস-বাংলা

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
(৩ বছর আগে) নভেম্বর ২৩, ২০২০, সোমবার, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

সেবার পরিধি এবং গুণগত মান বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে  করোনার ক্ষতি কাটাতে চায় ইউএস-বাংলা। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর সেকেণ্ড ওয়েভের ধাক্কা সামলে ওঠার চ্যালেঞ্জের মধ্যে
নতুন বছরের সূচনাতে চার আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে বেসরকারি ওই বিমান সংস্থা। কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিকদার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ। রোববার সন্ধ্যার ওই সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা ছাড়া এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ইউএস বাংলার বিদ্যমান অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বলেন, আগামী বছরের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই ও আবুধাবিতে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএস-বাংলা। সেই সঙ্গে সার্কভুক্ত দেশ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলোম্বো এবং মালদ্বীপের রাজধানী মালেতেও ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুটগুলোকে নির্বিঘ্ন করতে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে আরো দুটো বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ খুব দ্রুতই যুক্ত হচ্ছে জানিয়ে মেজবাহউদ্দিন বলেন, আগামী বছর থেকে ইউএস-বাংলা যশোর- কক্সবাজার, সিলেট-চট্টগ্রাম, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট চালাবে। সেজন্য আরো দুটি এটিআর ৭২-৬০০ উড়োজাহাজ আনা হচ্ছে।
জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারির মধ্যেই উড়োজাহাজগুলো ইউএস বাংলার বহরে যুক্ত হবে।মেজবাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের কাছে সহায়তার আবেদন করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থার সাথে সুষম প্রতিযোগিতার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা দরকার। বিশেষ করে অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, জেট ফুয়েলের দাম আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরুপণ করা, প্যাসেঞ্জার এয়ারলাইন্সের জন্য হ্যাঙ্গার সুবিধা ইত্যাদি। ২০১৪ সালে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ছয়টি এটিআর ৭২-৬০০ উড়োজাহাজসহ মোট ১৩টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে এ বিমান পরিবহন সংস্থা চেন্নাই, কলকাতা, দোহা, মাসকট, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করত। এখন ব্যাংকক বাদে সাতটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। করোনা মহামারীর মধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তা কাটিয়ে আগের অবস্থায় ফিরতে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে জানিয়ে ইউএস বাংলার সিইও বলেন, ক্ষতি কাটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েই তারা সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে ব্যবসা যাই হোক স্বাস্থ্যবিধির সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সেবা অক্ষুণ্ণ রাখাই তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন মাসুদ, ডিরেক্টর (অপারেশন) ড. মোহাম্মদ মাসুদ ও মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর