ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)কে ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের প্রস্তাব করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল কমিটির বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম। বৈঠকে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান ও মো. আফতাব উদ্দিন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি যৌথ কর্মসূচি ‘সিপিপি’। ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুরোধে তৎকালীন লীগ অব রেডক্রস ও বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ বাংলাদেশের উপকূলীয় জনসাধারণের জানমাল রক্ষার্থে সিপিপি প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭২ সাল থেকে সংস্থাটি কাজ শুরু করে। সিপিপি’র অবদানে ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের মৃত্যু ১০ লাখ থেকে ‘সিঙ্গেল ডিজিটে’ আনা সম্ভব হয়েছে।
এই অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যাপ্রবণ এবং নদী ভাঙন এলাকার কাজ করার সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠাতে বলা হয়। বৈঠকে মাদক, ইভটিজিংসহ সামাজিক দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে নেয়া কর্মসূচিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।