× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইন্দোনেশিয়াতে প্রাচীন গুহাচিত্র

অনলাইন

বিশেষ সংবাদদাতা
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৫, ২০২১, শুক্রবার, ২:১০ অপরাহ্ন

আঁকার বিষয় একটি বুনো শুয়োর। ৫৩ ইঞ্চি বাই ২১ ইঞ্চির শুয়োরের ছবিতে রং চড়ানো হয়েছে লাল গুঁড়ো দিয়ে। ক্যানভাস নয়, ইন্দোনেশিয়ায় ওই ছবি আঁকা হয়েছে গুহার ভিতর, পাথরের উপরে। ওই চিত্রকর্ম নিয়েই এখন শোরগোল বিজ্ঞানী মহলে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের একাংশের দাবি, বিশ্বে কোনও প্রাণীর প্রাচীনতম গুহাচিত্র এটিই। বয়স বেশি নয়, মাত্র ৪৫,৫০০ বছর! ইন্দোনেশিয়ায় সুলাওয়েসি দ্বীপের প্রত্যন্ত উপত্যকার লেয়াং তেদংঞ্জ গুহায় প্রাগৈতিহাসিক মানুষের আঁকা প্রমাণ মাপের ওই শুয়োর সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ফ্রান্সের লাস্কো থেকে স্পেনের আলতামিরা, আর্জেন্তিনার কুয়েভা দ্য লা মানোস থেকে ভারতের ভীমবেটকা- গুহামানবদের আঁকা বহু তাক-লাগানো পশুপ্রাণীর ছবি আগেও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু রেডিয়ো-কার্বন ডেটিং পদ্ধতি অনুযায়ী সেগুলির গড় বয়স ৩০,০০০-৩৫,০০০ বছরের বেশি নয়।
সেই নিরিখে ইন্দোনেশিয়ার এই প্রাণী-চিত্রই সবচেয়ে পুরোনো। ঘটনা হলো, আদিম মানুষের আঁকা সবচেয়ে প্রাচীন গুহাচিত্রের দৃষ্টান্ত কিন্তু আরও অনেক বেশি পুরোনো। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় হ্যাশট্যাগের মতো একটি 'ডুডল' আবিষ্কার হয়েছিল। কোনও প্রাণীর ছবি নয়, তা ছিল অ্যাবস্ট্র্যাক্ট আর্ট- বিমূর্ত শিল্প! আর বয়স? ৭৩ হাজার বছর! সুলাওয়েসির শূকর-চিত্রের সন্ধান নিয়ে নিবন্ধ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে। নিবন্ধের সহ-লেখক ম্যাক্সিম অ্যবার্ট বলছেন,এই চিত্রটি যাঁরা এঁকেছিলেন তাঁরা পুরোপুরি আধুনিক ছিলেন, আমাদেরই মতো। নিজেদের পছন্দসই চিত্রকর্ম আঁকার ক্ষমতা ও সরঞ্জাম ছিল তাঁরা। ওই অঞ্চলে কবে থেকে আদিম মানুষের বসতি ছিল, তারও আঁচ পাওয়া যায় এই ছবি দেখে।' রেডিয়ো-কার্বন ডেটিংয়ে বিশেষজ্ঞ অ্যবার্ট ওই গুহা-চিত্রকর্মের উপরে একটি ক্যালসাইটের স্তর শনাক্ত করেন। ইউরেনিয়াম-সিরিজ আইসোটোপ ব্যবহার করে চিত্রকর্মের বয়স অনুমান করেছেন তিনি। অ্যবার্ট বলছেন, 'আঁকাটি অন্তত ৪৫,৫০০ বছরের পুরোনো। তার আগের হওয়াও বিচিত্র নয়। কারণ, আমরা শুধুমাত্র ক্যালসাইটের উপর নির্ভর করে এর তারিখ অনুমান করেছি।' মুখে আব থেকে শুরু করে পুরুষ শুয়োরের সব বৈশিষ্ট্যই দিব্যি ধরা পড়েছে সুলাওয়েসির গুহাচিত্রে। শুয়োরটির পিঠের উপর আবার দেখা যাচ্ছে দু'টি হাতের ছাপ এবং আরও দু'টি শুয়োর, যার অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। নিবন্ধের সহ-লেখক অ্যাডাম ব্রাম জানিয়েছেন, 'মনে হয়, তিন শুয়োরের লড়াইকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল এই ছবিতে।' হাতের ছাপ এবং রঙের সঙ্গে ব্যবহৃত লালারস থেকে আদিম মানুষের ডিএনএ নমুনা খুঁজে পাওয়ারও চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর