× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বুটজোড়া তুলে ডাগআউটে থিতু হলেন রুনি

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৬ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার

ছোটবেলা থেকেই গোলের নেশা ছিল ওয়েইন রুনির। স্কুল ফুটবলে রুনির পায়ে গোলের ফুলঝুরি দেখে তাকে দলে ভেড়ায় এভারটন। রুনির প্রিয় ক্লাবও এভারটন। দলটির মূল দলে জায়গা করে নিতে সময় নেন মাত্র পাঁচ বছর। ১৬ বছর বয়সে অভিষেকের পর গোলও করেন। গোল করা যার নেশা রেকর্ড তো তার পায়েই লুটিয়ে পড়বে। ক্যারিয়ারের স্বর্ণালী সময় কাটানো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা রুনি। রেড ডেভিলদের জার্সিতে ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে ২৫৩ গোল তার।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে তার গড়া সর্বোচ্চ (৫৩) গোলের রেকর্ডটা এখনো অক্ষুন্নই রয়েছে। ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন রুনি। শুক্রবার ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের দল ডার্বি কাউন্টির প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার দিন খেলোয়াড়ি জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে রুনির।

গত বছরের নভেম্বর থেকে ডার্বি কাউন্টির অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ইংল্যান্ডের প্রাচীন এই ক্লাবটির সঙ্গে আড়াই বছরের চুক্তি করেছেন রুনি। ২০০২ সালে এভারটনের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের দুই বছর পর নাম লেখান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। রেড ডেভিলদের হয়ে একটি চ্যাম্পিয়নস লীগ ও পাঁচ প্রিমিয়ার লীগসহ জিতেছেন ১৬টি শিরোপা। ২০১৭ সালে ম্যানইউ থেকে ফেরেন ছোটবেলার ক্লাব এভারটনে। সেখানে এক মৌসুম কাটিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। মেজর সকার লীগে ডিসি ইউনাইটেডে খেলেছেন দুই বছর। ডিসি ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তির দুই বছর বাকি থাকতে দেশে ফেরেন। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে নাম লেখান ডার্বি কাউন্টিতে। ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন ৩৫ ম্যাচ। গত বছরের ২৬শে নভেম্বর ডাচ কোচ ফিলিপ কোকুকে বরখাস্ত করে ডার্বি। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই নিজেকে স্কোয়াড থেকে সরিয়ে নেন রুনি। খেলোয়াড় হিসেবে নিজের রুনির শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল মিডলসবরোর বিপক্ষে গত বছরের ২৫শে নভেম্বরের ম্যাচটি।

৩৫ বছর বয়সী রুনি নতুন ভূমিকায় পথচলার শুরুর পর বলেন, ‘আমার জীবনের পুরোটা সময়জুড়ে ফুটবল খেলেছি। আমি সৌভাগ্যবান যে এখনো ফুটবলের সঙ্গেই থাকতে পারছি। আমি অবশ্যই খেলোয়াড়ি জীবন মিস করব। কিন্তু সময় তো আর থেমে থাকবে না। এখন সময় এসেছে তরুণদের জায়গা ছেড়ে দেয়ার। আমার খেলোয়াড়ি জীবন চমৎকার। কিছু আক্ষেপ অবশ্যই রয়েছে। সেটা তো বদলাতে পারব না। আমি আমার কোচিং ক্যারিয়ারেও কিছু ইতিহাস গড়তে চাই।’

ডার্বি কাউন্টিতে কোচিং ক্যারিয়ার শুরুর একটা ব্যাখা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। তিনি বলেন, ‘আমি যখন ডার্বি কাউন্টিতে নাম লেখাই তাদের সম্ভাবনা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমার কাছে আরো কয়েকটি প্রস্তাব ছিল। তবে আমার মনে হয়েছে এটাই সঠিক জায়গা।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর