× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২৭, ২০২১, বুধবার, ৬:৩৩ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-৭ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের  জামিন না মঞ্জুর করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ইরফানকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীব সাঈদ আহমেদ রাজা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।

পরে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ৫টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করার অভিযোগের মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছে।
যেসব অভিযোগে মামলা হয়েছে তা জামিনযোগ্য। আদালত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন।

গতবছর ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। ঘটনার সময় সাংসদ হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এসময় হাজী সেলিমের গাড়ী থেকে দুই জন ব্যক্তি নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করে। একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এসময় ওয়াসিফের স্ত্রীকেও লাঞ্চিত করা হয়। ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গতবছর ২৬ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। দ-বিধির ১৪৩, ৩০৭, ৩২৫, ৩৩২, ৩৪১, ৩৫৩, ৩৫৪ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় এ মামলা করা হয়। ওই দিন চকবাজারের দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাসায় দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেওয়া হয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুইজনকে এক বছর করে কারাদ- দেন। পরে মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব। যার দুই মাস পর অস্ত্র ও মাদক মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলো পুলিশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলায় ইরফান সেলিমকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তার কাছে কোনো অস্ত্র ও মাদক ছিল না। তার সহযোগী জাহিদের কাছ থেকে এই অস্ত্র ও মাদক পাওয়া যায়।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর