এমন একজন সনমানী রবীন্দ্রনাথের মতো সশিখ্খিত জনদরদি নির্লোভ নেতার বিদেশ ফেরত ইংরেজি বলা আদরের শন্তানের এই বেইজ্জতির উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার। মাননীয় হাই কোর্ট অনতি বিলম্বে ওনার জামিন মঞ্জুর করে জাতিকে কলঙ্কের হাত থেকে মুক্তি দেবেন এই নিবেদন করছি।
পথের ধারে নাম না জানা কতো ফুল ফোটে। পথ ধরে হেঁটে যায় মানুষ। ভুলেও তাকায় না সেদিকে। কখনো কখনো দলিত মথিত করে চলে যায় পথিক। ওরা যে কোনো বাগানের ফুল নয়। কোনো সুরম্য অট্টালিকার সামনে কতো যত্নে ফোটানো হয় কতো ফুল। মালিদের হাড়ভাঙা খাটুনি। যত্নের শেষ নেই। বাহারি ফুলের চোখ জুড়ানো দৃশ্য মানুষকে মুগ্ধ করে। কিন্তু, প্রকৃতির কোলে লালিত রোদ বৃষ্টি ঝড়ো হাওয়ার হামলায় আহত হয়ে পথের ধারে অনাদরে ফোটা ফুলের কদর কারো কাছে তেমন নেই। তেমনি, কতো নাম না জানা বিখ্যাত নয়, কিন্তু অখ্যাত লোক বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে জেল খেটে যাচ্ছে। সাংবাদিকের অনুসন্ধানী কলমের খোঁচায় মাঝে মধ্যে এমন খবর আমাদের সামনে আসে। তখন কর্তৃপক্ষের নজরেও আসে। তাঁরা তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করেন। বিনা বিচারে এখনো কোনো লোক জেলের ভেতর আছে কিনা তা কারো জানা নেই। কারণ, এদের বড়ো কোনো পরিচয় নেই। তাই পথের ধারে নাম না জানা অনাদরে ফোটা ফুলের মতো এদেরকে কেউ চেনেনা, এদের দিকে কেউ তাকায় না এবং এদের খবরও কেউ রাখার প্রয়োজন বোধ করেনা। হয়তোবা কোর্ট কাছারিতে দৌড়ানোর মতো এবং কাকে ধরে কি ব্যবস্থা করতে হবে সেই শিক্ষাগত বুদ্ধি-জ্ঞান এদের নাও থাকতে পারে। খরচের মতো পর্যাপ্ত টাকাও এদের না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এরা সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অংশ। বিড়ম্বনাই বুঝি এদের নিয়তি! দেশের সব কারাগারে একটা অনুসন্ধান চালানো যেতে পারে। সেজন্যে একটা কমিটি গঠন করা যায়। বিনা দোষে ও বিনা বিচারে কেউ জেল খেটে যাচ্ছে কিনা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের খুঁজে বের করে মুক্তির ব্যবস্থা করা উচিত।
লে: ওয়াসিফ,আমাদের ক্ষমা করবেন প্লিজ।
আবুল কাসেম
২৭ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার, ৮:০৩পথের ধারে নাম না জানা কতো ফুল ফোটে। পথ ধরে হেঁটে যায় মানুষ। ভুলেও তাকায় না সেদিকে। কখনো কখনো দলিত মথিত করে চলে যায় পথিক। ওরা যে কোনো বাগানের ফুল নয়। কোনো সুরম্য অট্টালিকার সামনে কতো যত্নে ফোটানো হয় কতো ফুল। মালিদের হাড়ভাঙা খাটুনি। যত্নের শেষ নেই। বাহারি ফুলের চোখ জুড়ানো দৃশ্য মানুষকে মুগ্ধ করে। কিন্তু, প্রকৃতির কোলে লালিত রোদ বৃষ্টি ঝড়ো হাওয়ার হামলায় আহত হয়ে পথের ধারে অনাদরে ফোটা ফুলের কদর কারো কাছে তেমন নেই। তেমনি, কতো নাম না জানা বিখ্যাত নয়, কিন্তু অখ্যাত লোক বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে জেল খেটে যাচ্ছে। সাংবাদিকের অনুসন্ধানী কলমের খোঁচায় মাঝে মধ্যে এমন খবর আমাদের সামনে আসে। তখন কর্তৃপক্ষের নজরেও আসে। তাঁরা তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করেন। বিনা বিচারে এখনো কোনো লোক জেলের ভেতর আছে কিনা তা কারো জানা নেই। কারণ, এদের বড়ো কোনো পরিচয় নেই। তাই পথের ধারে নাম না জানা অনাদরে ফোটা ফুলের মতো এদেরকে কেউ চেনেনা, এদের দিকে কেউ তাকায় না এবং এদের খবরও কেউ রাখার প্রয়োজন বোধ করেনা। হয়তোবা কোর্ট কাছারিতে দৌড়ানোর মতো এবং কাকে ধরে কি ব্যবস্থা করতে হবে সেই শিক্ষাগত বুদ্ধি-জ্ঞান এদের নাও থাকতে পারে। খরচের মতো পর্যাপ্ত টাকাও এদের না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এরা সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অংশ। বিড়ম্বনাই বুঝি এদের নিয়তি! দেশের সব কারাগারে একটা অনুসন্ধান চালানো যেতে পারে। সেজন্যে একটা কমিটি গঠন করা যায়। বিনা দোষে ও বিনা বিচারে কেউ জেল খেটে যাচ্ছে কিনা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের খুঁজে বের করে মুক্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এদিকে নৌ বাহিনীর লেফটেনেন্ট ওয়াসিফ -কে মারধর এবং নিজ বাড়িতে বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদ, অবৈধ অস্ত্র ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে সাংসদ হাজী সেলিমের পুত্র ইরফানের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছিলো। চারটিতেই তার জামিন হয়েছে। বাকি একটির ব্যপারে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। সব মামলাই নাকি জামিন যোগ্য। অথচ তার বিষয়টা নিয়ে দেশে ব্যপক হৈচৈ পড়ে গিয়েছিলো। হাজী সেলিমের অবৈধভাবে দখল করা জায়গাও উদ্ধার করা হয়েছে। যাই হোক, আদালতের রায়ের প্রশ্নে কারো দ্বিমত পোষণ করার কিছু নেই। কিন্তু ইরফানের ঘটনায় যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে তা তো দিবালোকের মতো স্পষ্ট।