বয়স তার ৯৪। কিন্তু তাতে কি। এখনও সকলের সঙ্গে হেসেখেলেই দিন কাটান রানি এলিজাবেথ। করোনাকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পর একটি বিশেষ মন্তব্য করেছেন এলিজাবেথ। তার মতে, করোনা বিশ্বকে বেশি বেগ দিতে পারেনি। করোনা টিকার দ্রুত আবিষ্কার তারই প্রমান। তার দেশের চিকিৎসকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, করোনাকালে তারা দেশের মানুষকে যেভাবে রক্ষা করেছেন তা প্রশংসার যোগ্য। তার মতে টিকা আবিষ্কারে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি এক হয়ে কাজ করেছে।
শুধু তাই নয়, বিশ্বের গরিব দেশগুলি যাতে টিকার সুবিধা ভোগ করতে পারে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। বিশ্বকে করোনা থেকে সুরক্ষিত করতে গবেষকদের ভূয়সি প্রশংসা করেছে ইংল্যান্ডের রানি। ১৮ মিলিয়ন বৃটেনবাসীকে টিকা দেয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এই সংখ্যা আগামীদিনে আরো বাড়বে বলে মনে করেন এলিজাবেথ। করোনাকালে ১ লাখ ২২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে ইংল্যান্ডে। তবে সেখান থেকে তারা অবিস্মরণীয়ভাবে ঘুরে দাড়িয়েছে। তার নিজের পরিবারেও করোনার ছায়া পড়েছে। তবে সেখান থেকে মুক্তি লাভ করে ফের ঘুরে দাড়িয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর করোনা এমন এক মহামারি হিসাবে এসেছিল যেখানে এতগুলি মানুষ তাদের জীবন হারিয়েছেন। এনডিটিভি সূত্রে খবর, এলিজাবেথের এই বয়ান তার নিজের দেশে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে। তার এই উক্তিকে সমর্থন করেছে বৃটেনবাসী। দেশের রানি হওয়ার কারন এখনও যে তার অনেক দায়িত্ব রয়েছে, নিজের সেই দায়িত্ব তিনি যে এখনও ভুলে যাননি সেকথা ভেবেই আপ্লুত বৃটেনবাসী। তাই এই কথা ভোকাল দাওয়াইয়ের মতই কাজ করেছে বৃটেনে।