অবশেষে শুরু হচ্ছে নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন। জানা গেছে, ২২শে মার্চ থেকে দেশের চারটি ভেন্যুতে চারদিনের জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) মাঠে গড়াতে পারে। তবে এই সময় দুই/তিনদিন পেছাতেও পারে। কারণ লীগ শুরুর আগেই এই আসরের সংশ্লিষ্ট সকলকে আনা হবে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায়। এরই মধ্যে ক্রিকেটার, আম্পায়ার, অফিসিয়াল থেকে শুরু করে মাঠকর্মী সকলকে টিকা প্রদানের জন্য ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি কবে নাগাদ টিকা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো (টিকা নিয়ে) ডেভেলপমেন্ট নেই। স্পোর্টস মিনিস্ট্রি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে যে চিঠিটি পাঠিয়েছে আমরা তার একটা কপি পেয়েছি।
আমরা সেটা নিয়ে হয়তো ইমিডিয়েটলি পার্সিউ করবো এবং পরবর্তী যে ব্যবস্থা তাদের সঙ্গে কথা বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্লেয়ারদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসবো।’ প্রায় ১৩০ জন ক্রিকেটার ছাড়াও ম্যাচ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে প্রায় ৩শ’ জনকে টিকার আওতায় আনতে হবে। এত বিশাল প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে বিসিবি’র সিইও বলেন, ‘ভ্যাকসিনেশনে যেটা হবে তারা (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) সেন্টার বা যে হসপিটাল রেক্টিফাই করে দেবে সে হসপিটালে সবাইকে গিয়ে ভ্যাকসিনেশন নিতে হবে। আমরা চেষ্টা করবো যে নির্ধারিত কোনো হসপিটাল বা ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলো আছে সেখানে এই কার্যক্রমটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালনা করা।’
অন্যদিকে এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে এনসিএল শুরু করার অন্যতম কারণ টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করা। বিশেষ করে সব শেষ জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজ মাটিতে টেস্ট সিরিজ হোয়াইটওয়াশের পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। আগামী মাসে (১২ই এপ্রিল) বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আর সে কারণেই টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের চার দিনের ম্যাচ খেলিয়ে প্রস্তুত করতে চায় বিসিবি। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের যারা নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছে তাদের দেশে ফিরে আসার কথা ৩রা এপ্রিলের মধ্যে। তারাও যেন এসে একটি রাউন্ড খেলতে পারে সেই জন্যই দ্রুত এনসিএল চালু করতে চায় বিসিবি। জানা গেছে, এবারের এনসিএলের শুরু দিকে ঢাকাতে কোনো ম্যাচ রাখা হয়নি। তার মানে মিরপুর শেরেবাংলা, ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী ও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে কোনো ম্যাচ আয়োজন হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। তবে বগুড়া, খুলনা, বরিশাল ও রাজশাহীতেই এবারের আসরের শুরুর দিকের সম্ভাব্য ভেন্যু।