দীর্ঘ ১০ বছর পর ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিচালক পদে ১৬ জনের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ২০ জন। এর মধ্যে হেরেছেন চারজন। যে চারজন হেরেছেন, তার মধ্যে তিনজনই ক্লাবের সাবেক তারকা খেলোয়াড়। এরমধ্যে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর হারটি সবচেয়ে বড় চমক। সরকারদলীয় এই সংসদ সদস্য ছিলেন মোহামেডানের সাবেক তারকা ফুটবলার। কামরুন নাহার ডানা ক্লাবটির সাবেক তারকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এবং সাজেদ এ এ আদেল ছিলেন হকি তারকা। অপর পরাজিত প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান ছিলেন সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।
নির্বাচনে ভোটাররা আগামী দুই বছরের জন্য নতুন পর্ষদ বাছাই করেছেন। সাদা-কালোদের সাবেক তারকা ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর পরাজয়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই। নির্বাচনের পর তার হার নিয়েই আলোচনা ছিল বেশি। তবে কেন এমন হার, সেটি গোপনই রাখতে চাইছেন সাবেক এই ফুটবলার। গতকাল পেশাদার ফুটবল লীগ কমিটির সভা শেষে মোহামেডানের নির্বাচন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় আছে সবাইকে বলা যায় না। এই জিনিসটা আপনারা জানেন। মোহামেডান নির্বাচনের বিষয়টিও আজকে শেয়ার করলাম না।’ এর আগে অবশ্য মোহামেডানের নব নির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, ‘মোহামেডান ক্লাব দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। নতুন পরিচালনা পর্ষদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তারা মোহামেডানের গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন এই আশা রইলো।’ তবে মোহামেডানের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে না পারলেও সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাফুফের এই সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ‘আমি ঢাকায় আজাদ স্পোর্টিং থেকে খেলা শুরু করলেও পরিচিতি ও খ্যাতি মোহামেডান থেকেই। সালামের মোহামেডান বা মোহামেডানের সালাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ব্যবসা, রাজনীতি, ফুটবল ফেডারেশনসহ অনেক কিছুতে আমি জড়িত। সেই অর্থে সব জায়গায় সময় দেয়া যায় না। এরপরও আমার পক্ষ থেকে যতটুকু করা যায় ক্লাবের জন্য করবো।’