× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতই প্রধান চ্যালেঞ্জ /ক্যাম্পে নারী দিবস-২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) মার্চ ৮, ২০২১, সোমবার, ৯:৪৯ অপরাহ্ন

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তূচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। এছাড়া নারীদের প্রতি বৈষম্য, নির্যাতন, চলাচলে স্বাধীনতা, বিভিন্ন সহায়তা কর্মকা-ে অংশগ্রহন ও আইনী সুরক্ষাসেবা গ্রহণে বাধাঁ নারী উন্নয়নে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত।

আজ সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের পাঁচ নম্বর ক্যাম্পে ইউএন মার্কেটে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি)-এর কার্যালয়, ইউএন ওমেন, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিওএফপি), ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালসার অর্গানাইজেশন (এফএও) ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নেতৃত্বে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করি’।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি (এইচসিএমপি)-এর এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ও ক্যাম্প ইনচার্জ মুশফিকুল আলম হালিম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লিগ্যাল অফিসার শফিক উল্লাহ শফিক, ইউএন ওমেন-এর হেড অব সাব অফিস (ঐঙঝঙ) ফ্লোরা ম্যাকুলা, এফএও (ঋঅঙ)-এর হেড অব সাব অফিস মার্কো দে গিটানো, ডব্লিওএফপির ডেপুটি ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেটর সুদীপ জোসি, ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি)-এর সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর নিকল ইপটিং, ব্র্যাকের এইচসিএমপি-এর আওতাধীন জেন্ডার বেইজড ভায়োলেইন্স (জিবিভি)-এর টেকনিক্যাল হেড হাসনে আরা বেগমসহ স্থানীয় ও রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।

মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে নারী সহিংসতা, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা আমাদের জন্য উদ্বেগের ব্যাপার।
একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিংও বটে। এরকম ঘটনা ঘটলে নির্যাতিত নারী বা সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা যাতে অতি দ্রুত ক্যাম্প অফিসে রিপোর্ট করেন-আমি সে আহবান জানাচ্ছি।

হাসিনা আখতার হক বলেন, স্থানীয় ও রোহিঙ্গা নারীর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, প্রতিকার ও আইনি সহায়তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া বর্তমান বাস্তবতায় রোহিঙ্গা নারী নিরাপত্তা ও শিশু সুরক্ষার বিষয়টিকে আমরা বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইএসসিজি,২০১৭-এর তথ্যসূত্র অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে প্রায় ৮,৩০,৯৮৩ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে যার মধ্যে ৫২ শতাংশ নারী ও মেয়ে শিশু এবং ৫৫ শতাংশ বয়সসীমা ১৮-৫৯ বছরের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে নারী ও মেয়ে শিশুদের সর্বাধিক ঝুকিঁ, বৈষম্য এবং সহিংসতার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের সহযোগিতায় ব্র্যাকসহ অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ব্র্যাক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এই পর্যন্ত ৫,৯৫০ জন অতি দরিদ্র নারীকে আর্থিক সহায়তা এবং ৩৯,৫৯৯ নারীকে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিকারে কাউন্সিলিং, চিকিৎসা,আইনী ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।

এদিকে বিকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের ব্র্যাক লানিং সেন্টারে (বিএলসি) ব্র্যাকে এইচসিএমপিতে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে আরও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সেইফ গার্ডিং বিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর