× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা মোকাবিলা বাজেটে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাত প্রাধান্য পাবে: অর্থমন্ত্রী

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ১১, ২০২১, রবিবার, ৯:৫৯ অপরাহ্ন

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্য খাতসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী বাজেট প্রণয়নের পরিকল্পনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রোববার দেশের অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইদুজ্জামান, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক সিনিয়র অর্থসচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার, নির্বাহী পরিচালক ড.আহসান এইচ. মনসুর, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল বারকাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. এমএম আকাশসহ দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে পরবর্তী বাজেটে প্রণয়নে তাদের পরামর্শ দেন। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে একই সঙ্গে কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয়ের উৎস বন্ধ করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, কালো টাকা বলে কোনো টাকা নেই। অপ্রদর্শিত টাকা আছে। এ সময় তিন দেশে বেশি দামে জমি বিক্রি করে সরকারকে কম দেখানোর প্রবণতার বিষয়ে উদারহণ দিয়ে বলেন, আগে জায়গা জমি যে কোনো দামে বেচাকেনা হতো।
কেউ চ্যালেঞ্জ করে নাই। কম দামে বেচাকেনার জন্য কেউ বিষয়টি সরকারের নজরে আনেনি। তিনি বলেন, এখন আমাকে যে কোনো কারণে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত আয়ের উৎস বন্ধ করতে হবে। উৎস বন্ধ করতে হলে একদিনে পারা যাবে না। এটা বন্ধ করার জন্য আরও সময় নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো আমরা বন্ধ করবো যোগ করে তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা এগুলো আমাদের সিস্টেমের কারণে হয়। মুস্তফা কামাল আগামী বাজেট প্রণয়নের মূল দিকগুলোর বিষয়ে বলেন, আগামী বাজেটে যেসব খাত মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে জড়িত সেগুলো প্রাধান্য পাবে। এরমধ্যে রয়েছে গ্রামীণ অবকাঠামো। গ্রামের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারে এমন খাত খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়েই যে সমস্যা, তা মাথায় রেখেই বাজেট তৈরি করতে হবে। এই ধরণের অবস্থা আগে কখনোই মোকাবিলা করতে হয়নি। এমন পরিস্থিতি কত দিন থাকবে সেটা আমরা জানি না। জানলে সেভাবে বাজেট তৈরি করতাম। অর্থনীতিবিদদের পরামর্শের বিষয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে অর্থনীতিবিদরা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সবাই এসেছেন কিনা, যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটা সবার কাছে গেছে কিনা, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছেন। অর্থনীতিবিদরা প্রণোদনার প্যাকেজ সম্প্রাসারণের পাশাপাশি মেয়াদও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করব। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। অর্থনীতিবিদরা চলমান মহামারীর প্রেক্ষিতে মুদ্রানীতি সম্প্রসারণমূলক করতে বলেছেন, যাতে আমরা সবাইকে সাপোর্ট দিতে পারি। সবার হাতে যেন পয়সা থাকে। সবাই যেন জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। আগামী বাজেটে কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সেবা বাড়াতে মনোযোগ বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে মান সম্পন্ন সেবা দিতে বাজেটে সবই বলা থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরীব মানুষের প্রতি খুবই সহনশীল। আগে যেমনভাবে তিনি মানুষকে দেখতেন লকডাউনের সময়ও তিনি তা করবেন। কারণ তার চিন্তায় হলো দেশের মানুষের জীবিকার। লকডাউনের সময় কী পদক্ষেপ নেবেন সে বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। জিডিপির অনুপাতে রাজস্ব আহরণ কম হওয়ার কারণ ব্যখ্যায় তিনি বলেন, দেশে প্রতিটা আইটেমে যে পরিমাণ ট্যাক্স নেয়ার প্রয়োজন সেটা যদি নিতে পারতাম তাহলে আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি রেশিওটা আরো ভালো হয়ে যেত। আমরা অনেক জায়গায় ট্যাক্স আদায় করি না, ছাড় দিয়ে দেই। কোথাও জিরো বা ১ শতাংশ নিয়ে ছাড় দিচ্ছি। তিনি বলেন, সরকারের অনেক মেগা প্রকল্পে নানা ভাবে ছাড় দিচ্ছি। তা না হলে এসব প্রকল্পের ব্যয় আরো অনেক বেড়ে যেত। তবে গত বছর থেকে কিছুটা কাজ শুরু হয়েছে। এবছরও তা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর