মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য ৩০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা মহামারিতে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এই ঋণ দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার অনলাইনে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। অনুষ্ঠানে তিনটি ব্যাংকে ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিন নারী উদ্যোক্তাসহ মোট ৭ জনের মধ্যে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, সরকারের দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেও যে তিনটি ব্যাংক (ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক) এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান (আইডিএলসি) ঋণ বিতরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘করোনা অতিমারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) সক্ষমতা বজায় রাখতে এবং শিল্প কারখানায় নিয়োজিত জনবলকে কাজে বহাল রাখতে প্রথম দফা ২০ হাজার কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় দফা ১৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হয়।’ এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে বরাদ্দ ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে চলতি অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা এবং আগামী অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। এই ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে সরকার নির্দেশিত সব ধরনের নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে। ইতিমধ্যেই ১১টি ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতায় আনতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় উদ্যোক্তারা চার শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২৪টি সমান মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। ঋণ বিতরণে ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যেই ১১টি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং আরো ১০ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন প্রক্রিয়াধীন।