× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাকড়সার জালে অস্ট্রেলিয়া

অনলাইন

নিজস্ব সংবাদদাতা
(২ বছর আগে) জুন ১৮, ২০২১, শুক্রবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন এক বিপদ। ছোট ছোট মাঠ আর গাছে দেখা যাচ্ছে বিশালাকৃতির মাকড়সার জাল। ভিক্টোরিয়ার জিপসল্যান্ডের বাসিন্দারা জানিয়েছেন ভারি বর্ষণের কয়েক দিন পরেই দেখা যাচ্ছে এসব বিশাল মাকড়সার জাল। এক জায়গায় প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা ঢেকে গেছে এই জালে। কোথাও আবার প্রায় ৮ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে জাল ছড়িয়েছে মাকড়সা। হাওয়ার থেকেও হালকা মাকড়সার এই সূক্ষ্ম রেশমের চাদর। এই মাকড়সা গুলিকে "ভবঘুরে শিকারি" বলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা মাকড়সাদের টিকে থাকার কৌশল।
অপেক্ষাকৃত উঁচু ভূমিতে উঠে যেতে এই জাল বিস্তার করে তারা। The Guardian এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখানে থাকা কয়েক লক্ষ মাকড়সারা মিলে এই জাল তৈরি করেছে। ভিক্টোরিয়া মিউজিয়ামের পতঙ্গ কিউরেটর ড. কেন ওয়াকার জানান, মনে হচ্ছে আশেপাশের গাছে লাখ লাখ মাকড়সা বসতি গড়েছে। তিনি বলেন, ‘মাটিতে থাকা মাকড়সাদের খুব দ্রুত গাছে ওঠার দরকার পড়ে। শিকারি প্রাণী থেকে বাঁচতে গাছে আশ্রয় নেয় তারা। আর এই কারণেই জাল বিছিয়ে রেখেছে তারা।’ আর এ থেকেই তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল জাল। যা ঢেকে ফেলেছে সালে ও লংফোর্ড শহরের মধ্যকার ভেজা জমি। স্থানীয় কাউন্সিলর ক্যারোলিন ক্রসলি জানান তিনি গত সোমবার এমব্যাংকমেন্ট লেক এলাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে যান। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিস্থিতি দেখে হতবাক হয়ে যান। ক্রসলি জানান তিনি আগেও এরকম দেখেছেন, কিন্তু এতো বিশালাকৃতির জাল কখনওই দেখেননি তিনি। ক্যারোলিন ক্রসলি বলেন, ‘এটা ভীতিকর নয়-সুন্দর। চারদিকের গাছ সহ সবকিছু জালের চাদরে ঢাকা পড়েছে। ওই সময়ে সূর্য ডুবে যাচ্ছিল, আলোটাও ছিল সুন্দর, বাতাসে কাঁপছিলো মাকড়সার জালের চাদর।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর