× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এ’ গ্রুপের নিষ্পত্তি আজ

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ জুন ২০২১, রবিবার

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এ’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে ইতালির। টানা দুই ম্যাচ জেতা ইতালি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্য নিয়ে মুখোমুখি হবে ওয়েলসের। রানার্সআপ হিসেবে ‘এ’ গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে উঠার সম্ভাবনা বেশি গ্যারেথ বেল-অ্যারন রামসেদের। শেষ ষোলোর স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি সুইজারল্যান্ড ও তুরস্কের। নকআউটের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামবে সুইজারল্যান্ড-তুরস্ক।
প্রথম দুই ম্যাচে এক জয় ও এক ড্রয়ে চার পয়েন্ট ওয়েলসের। ইতালির বিপক্ষে হার এড়ালেই গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট কাটবে গত আসরের সেমিফাইনালিস্টরা। ইতালির বিপক্ষে হারলেও গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে ওয়েলসের; যদি সুইজারল্যান্ড ও তুরস্কের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হয় কিংবা সুইসরা জিতলেও তাদের গোল ব্যবধানের চেয়ে ওয়েলসের গোল ব্যবধান ভালো থাকে। দুই রাউন্ড শেষে ওয়েলসের গোল পার্থক্য ‘+২’ আর সুইজারল্যান্ডের গোল পার্থক্য ‘-৩’।
ইতালি হার এড়ালেই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলবে শেষ আটে। ওয়েলস কোচ রবার্ট পেজ দাবি করলেন, তার দল চাপমুক্ত হয়েই মাঠে নামবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাবনায় এসব (শেষ ষোলো নিশ্চিতের) নেই। ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। আগেই বলেছি, আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি ম্যাচ জেতা। রোববারেও (আজ) একই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবো।’ ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড দমিনিকো বেরার্দি মনে করেন, ওয়েলসের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। বেরার্দি বলেন, ‘আমাদের জন্য কঠিন একটা ম্যাচ অপেক্ষা করছে। শতভাগ জয় নিয়েই পরের রাউন্ডের লড়াইয়ে নামতে চাই।’ টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত ইতালি। জিতেছে টানা ১০ ম্যাচ। এই দশ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৩১ গোল দিয়ে হজম করেনি কোনো গোল।
গ্রুপের সেরা দুই দলের একটি হয়ে সুইজারল্যান্ডের নকআউট পর্বের ওঠার সম্ভাবনা বেশ জটিল। শেষ রাউন্ডে তুরস্কের বিপক্ষে তাদের শুধু জিতলেই হবে না, প্রার্থনা করতে হবে, ইতালির বিপক্ষে ওয়েলস যেন হারে। এরপরও ‘কিন্তু’ আছে; তিন রাউন্ডের খেলা শেষে গোল ব্যবধানে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে থাকতে হবে সুইজারল্যান্ডকে। যেমন: ইতালির বিপক্ষে ওয়েলস যদি ১-০ গোলে হারে, তাহলে তাদের গোল ব্যবধান দাঁড়াবে ‘+১’। সেক্ষেত্রে তুরস্কের বিপক্ষে সুইসরা পাঁচ গোলের ব্যবধানে জিতলেই শুধু ওয়েলসকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে জায়গা পাবে। তাই সুইজারল্যান্ডের চাওয়া থাকবে ইতালির বিপক্ষে যেন বেশি ব্যবধানে হারে ওয়েলস। প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে গ্রুপের সেরা দুইয়ে থেকে পরের রাউন্ডে ওঠার আশা আগেই শেষ হয়ে গেছে তুরস্কের। তাদের একমাত্র সম্ভাবনা এখন ৬টি তৃতীয় স্থান পাওয়া দলগুলোর চারটির একটি হয়ে পরের ধাপে যাওয়া। সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল রাখতে শেষ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই তুরস্কের।
জয় পেতে সুইসরা কতটা মরিয়া বোঝা গেল তাদের কোচ ও খেলোয়াড়দের কথায়। দলটির কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচ বলেন, ‘আমি দলকে একটা কথাই বলেছি, আমাদের হাতে আর একটি ম্যাচই রয়েছে। পরের রাউন্ডে যেতে একটি জয়ই দরকার।’ সুইস মিডফিল্ডার স্টিভেন জুবের বলেন, ‘ইতালির কাছে বড় হারে দেশের সবাই খুবই হতাশ। রোববার (আজ) প্রতিপক্ষকে হতাশা উপহার দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য একটাই, তুরস্কের চেয়ে বেশি গোল করা।’
গত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি তুরস্ক। সেবার তাও একটি জয় পেয়েছিল তারা। চলমান আসরে পয়েন্ট তো দূরে থাক কোনো গোলও করতে পারেনি। ইউরো শুরুর আগে টানা ৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তুরস্ক। হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডসকেও। ইউরোয় তাই প্রত্যাশা বেশি ছিল তুরস্ককে নিয়ে। আসরে টানা দুই হারের কারণ হিসেবে অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করলেন তুরস্ক কোচ সেনোল গুনেস। তিনি বলেন, ‘আমি জানি প্রত্যাশা বেশি ছিল আমাদের নিয়ে। পারফরমেন্স দিয়ে এই দলটাই প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছিল। স্কোয়াডের বেশিরভাগ সদস্যই তরুণ এর আগে যাদের ইউরোর মতো বড় আসরে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর