× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে দীর্ঘ হচ্ছে চিকিৎসকের মৃত্যু তালিকা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৮ জুলাই ২০২১, রবিবার

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসকদের লাশের সারি দীর্ঘ হয়েছে অনেক। সর্বশেষ গত ১৪ই জুলাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আর এই মহামারিতে ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার হার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বিএমএ এর চট্টগ্রাম শাখার প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় ২৫ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন নারী চিকিৎসকও রয়েছেন। আর ১২ই জুলাই পর্যন্ত ৭৭৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যেটি ঢাকায় মোট আক্রান্ত ৮৬৮ জনের পরেই অবস্থান। জানা গেছে, চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মারা যান ডাক্তার এহসানুল করিম।
তিনি গত বছরের ৩রা জুন দায়িত্বপালন করা অবস্থায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর সেই বছর সব মিলিয়ে ৯ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। আর সর্বশেষ চলতি মাসের ১৫ই জুলাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামালের মৃত্যুসহ এই বছরে আরও ১৬ চিকিৎসকের মত্যু হয়। মৃত্যুবরণকারী এসব ডাক্তারদের মধ্যে ৩ জন ছাড়া সবাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। সরকারি ৩ জনের মধ্যে একজন আবার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি  চিকিৎসক।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ডাক্তার আরিফ মোরশেদ তালুকদার জানান, শুরুতে সবার মতো ডাক্তারদের মধ্যেও করোনা আতঙ্ক ছিল। এরপরও সরকারি-বেসরকারি ডাক্তাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়েছেন। তবে এখনো পিপিইসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রী সহজলভ্য হয়নি। সব ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি। নগরীর বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার সালেহুজ্জামান বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু সবদিকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’ এই বিষয়ে বিএমএ এর চট্টগ্রাম জেলার সেক্রেটারি ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী মানবজমিনকে বলেছেন, ‘এই পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারানো বা আক্রান্ত হওয়া কোনো চিকৎসক ঘোষিত এই প্রণোদনা পেয়েছেন কিনা আমার জানা নেই। তবে আমরা তো কোনো প্রণোদনার আশায় মাঠে কাজ করছি না। জাতির এই দুর্দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখে চলছি।’ ডাক্তারদের প্রণোদনা না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘করোনায় পেশাজীবীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চিকিৎসকরা। আর প্রতিদিন যে হারে ডাক্তাররা আক্রান্ত হচ্ছেন সরকার চাইলেও সবাইকে প্রণোদনার মধ্যে আনার সুযোগ নেই। তাই অন্তত করোনায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় প্রাণ হারানো সরকারি, বেসরকারি সব চিকিৎসকদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা দরকার।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর