× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মসলার বাজারে কোরবানির উত্তাপ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৮ জুলাই ২০২১, রবিবার

কোরবানির ঈদ এলেই বাজারে বেড়ে যায় যাবতীয় মসলার দাম। এ যেন এক চিরন্তন রীতি। অতিরিক্ত চাহিদাকে পুঁজি করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এই ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয় ইচ্ছামতো। বরাবরের মতো এবারও সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাইকারদের বিরুদ্ধে, পাইকাররা অভিযোগ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরাই দাম বাড়ায়।
খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত মাসের শেষের দিকে যে পিয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। ৪৫-৫০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭৮-১২০ টাকায়, শুকনা মরিচের কেজি ছিল ২০০-২২০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। হলুদের দাম গত মাসে ছিল ১৫০-১৭০ টাকা।
এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০- ২২০ টাকা। জিরার আগের দাম ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এখন ৪০০-৪৫০ টাকা। ১২০ টাকার প্রতি কেজি দেশি আদা এখন ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের কোথাও কোথাও ১৬০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ৪০০ টাকার দারুচিনি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকায়। এ ছাড়া কালো গোল মরিচ, সাদা গোল মরিচ, পাঁচফোড়ন, জয়ফল, লবঙ্গ, তেজপাতাসহ অন্যা মসলার দামও ঈদকে সামনে রেখে পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। সবধরনের মসলার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নগরীর গল্লামারীর ইনসান সুপার মার্কেটের মুদি দোকান বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের করার কিছু নেই। পাইকারিতে দাম বেড়েছে। তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। তবে আমার পূর্বের দামে মসলা কেনা থাকায় সামান্য লাভ রেখেই বিক্রি করছি।
তবে মেসার্স মোরেলগঞ্জ বাণিজ্য ভাণ্ডারের পরিচালক আবুল খায়ের বলেন, পাইকারি বাজারে পিয়াজ-রসুনের দাম বাড়েনি। আজও মানভেদে পিয়াজ ৩৫-৩৮ টাকা দরে এবং রসুন ৩০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বড় বাজারের পাইকারি মসলা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি বাজারে মসলার দাম বাড়েনি। সবকিছু আগের মতো আছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আমাদের নাম দিয়ে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিলে আমরা কি করতে পারি। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মসলা কিনতে আসা সিফাতুল্লাহ বলেন, করোনাকালে যেখানে মানুষ সংসার চালাতে পারেনা সেখানে এভাবে পণ্যের দাম বাড়ানো চরম অযৌক্তিক। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহিন আলম বলেন, বড় বাজারে গতকাল ভোক্তা অধিকারের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালিয়েছি। ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক মূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যাপারে বলা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর