× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকায় তিনদিনের কোয়ারেন্টিনে অস্ট্রেলিয়া

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৩০ জুলাই ২০২১, শুক্রবার

২০১১ তে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এরপর টেস্ট খেলতে আসে ৬ বছর অপেক্ষা করিয়ে ২০১৭ তে। সেবার আসার আগে নিরাপত্তা নিয়ে কত যে নাটক আর বাড়াবাড়ি সেই গল্প সবারই জানা। আবারো ৪ বছর পর তারা ঢাকায় পা রেখেছে। কিন্তু আসার আগে করোনা নিরাপত্তা নিয়ে তারা দেয় কঠিন সব শর্ত। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার শর্ত আর দাবি পূরণ করতে হিমশিম খেতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। এই সফরে প্রথমবারের মতো তারা টাইগারদের বিপক্ষে খেলবে ৫ ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২০০৬ এ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পা রাখা বাংলাদেশকে এই জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৫ বছর।
শুধু কী তাই, তিন ফরমেটের তিনটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে তারা সময় নিয়েছে ১০ বছর। এবারো সিরিজ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কার শেষ ছিল না। অবশেষে গতকাল ৪টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে অস্ট্রেলিয়া দল। তাদের দাবি অনুসারে অজি ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্ট বিমান থেকে নেমে সরাসরি ওঠে বায়ো বাবল সুরক্ষিত গাড়িতে। বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশন করে তারা সরাসরি চলে যায় টিম হোটেলে। একই দিনে সকাল ৯টায় জিম্বাবুয়ে সফর থেকে দেশে ফিরে সরাসরি হোটেলে উঠেছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলও। তিনদিন বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দল হোটেলে কঠোর রুম কোয়ারেন্টিনে থাকবে। ঢাকায় আসার আগেই অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শর্ত ছিল তাদের জন্য নির্ধারিত হোটেলে দুই দল ও সিরিজ সংশ্লিষ্টরা ছাড়া অন্য কোনো অতিথি থাকতে পারবে না। তাদের এই দাবি মানতে বিসিবিকে কোটি টাকা গচ্চা দিয়ে ভাড়া করতে হয়েছে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। গতকাল প্রথম দিনেই দুই দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফসহ সকলের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করা হয় প্রথম দফায়। আরও একটি টেস্ট হবে কাল। দুই টেস্টে নেগেটিভ হলেই দুই দল তিনদিন পর মাঠে নামবে অনুশীলনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির মেডিকেল বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘গতকাল সকালে বাংলাদেশ দল ফিরেছে আর বিকালে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম অনুসারে আজই দুই দলের কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করা হবে প্রথম ধাপে। প্রথমটির ফলাফল এলে দ্বিতীয়বার নমুনা সংগ্রহ হবে। দুটি পরীক্ষা শেষ হলে তার ফলাফলের ভিত্তিতেই দুই দল মাঠে নামবে অনুশীলনে। পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুসারে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ৩রা আগস্ট। অজিদের আরেক দাবি ‘এক ভেন্যু’। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠেই হবে সিরিজের সব ম্যাচ। সিরিজের বাকি চার ম্যাচ হবে ৪, ৬, ৭ ও ৯ই আগস্ট।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ পর্যন্ত ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। সব ম্যাচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। চার ম্যাচের প্রত্যেকটিতে হারের স্মৃতি বাংলাদেশের। তবে এবার নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজকে ভাবা হচ্ছে ‘সুযোগ’। সর্বশেষ ২০১৭ সিরিজে অজিদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের ইতিহাস গড়েছিল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। এবার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরও কাছে তেমন কিছুরই প্রত্যাশা টাইগারভক্তদের।

নেই কোনো অস্ট্রেলিয়ান ধারাভাষ্যকার!
স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের ধারাভাষ্য প্যানেল চূড়ান্ত হয়েছে। বহুল প্রতীক্ষিত এই সিরিজে ৩ জন বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকারের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন ২ জন বিদেশি ধারাভাষ্যকার। তবে এ তালিকায় নেই অস্ট্রেলিয়ান কোনো ধারাভাষ্যকার। ৩রা আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকার হিসেবে থাকছেন আতহার আলী খান, শামীম আশরাফ চৌধুরী ও মাজহার উদ্দিন অমি। এ ছাড়া বিদেশি ধারাভাষ্যকার হিসেবে থাকছেন ভারতের আনজুম চোপরা ও শ্রীলঙ্কার ফারভেজ মাহারুফ। করোনা মহামারির কারণেই অস্ট্রেলিয়া থেকে কোনো ধারাভাষ্যকার আসছেন না বলে জানা গেছে। বিষয়টি  দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি’র সমপ্রচার বিভাগের এক কর্মকর্তা। তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্প্রচারের কাজে এই সিরিজেও থাকছে রিয়েল ইমপ্যাক্ট। বাংলাদেশে আসার আগে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। সেখানেও অজি কোনো ধারাভাষ্যকার ছিলেন না। মূলত অস্ট্রেলিয়া সরকারের কোয়ারেন্টিনের কঠোর নিয়মকানুনের কারণেই বিদেশ সফরে যাচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ার ধারাভাষ্যকাররা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর