ভারতে ২০২৪-এর নির্বাচনকে সামনে রেখে দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোনিয়া গান্ধী, রাহুলের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন বুধবার। আলোচনা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালসহ অনেক কেন্দ্রীয় বিরোধী নেতার সঙ্গেও। বিরোধী জোট গঠন ত্বরান্বিত করতে শুধু রাজনীতিবিদই নন, সাংস্কৃতিক কর্মীদেরকেও শামিল করতে তৎপর তৃণমূল নেত্রী। সে লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতার ও তার স্ত্রী প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা।
বৈঠক শেষে জাভেদ সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন। সে সময় খোশমেজাজেই দেখা যায় মমতা ও শাবানাকে। স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে বিরোধী জোটের প্রযোজনীয়তা ও নেতৃত্বের বিষয়টি। আগামী লোকসভায় কি বদল সম্ভব? জবাবে জাভেদ আখতার বলেন, “দেশে পরিবর্তন আনাটাই মৌলিক বিষয়।
আমার বিশ্বাস ২০২৪-এ পরিবর্তন আসবেই। দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে।”
বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কে দেবেন? গত কয়েকদিন ধরেই এই প্রশ্নেই সরগরম রাজধানী। এ নিয়ে বুধবারই ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বকে তার বার্তা, 'নেতা নই, আমি ক্যাডার হয়ে কাজ করবো।' এর ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই বিরোধী নেতৃত্ব প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন দেশের অন্যতম সেরা গীতিকার। তার কথায়, 'কে নেতৃত্ব দেবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। পরিবর্তনটাই আসল।' তৃণমূল অবশ্য এখন থেকেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে 'দিদি' কে চাই বলে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।
'খেলা হবে'। একুশের বিধানসভায় তৃণমূলের এই স্লোগান আপাতত ভারতজুড়ে জনপ্রিয়। লোকসভাতেও উঠেছে 'খেলা হবে' ধ্বনি। কিন্তু রাজনীতিতে 'খেলা হবে' গানের আদৌ কি তাৎপর্য রয়েছে? উত্তরে বর্ষীয়ান গীতিকার হাসতে হাসতে বলেন, 'খেলা হবে' খেল দেখিয়েছে কিনা এই নিয়ে কি আপনাদের এখনও সংশয় রয়েছে? এ নিয়ে প্রশ্ন থাকারই কথা নয়।’
তখনই জাভেদ আখতারের কাছে শাবানাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের সামনেই প্রখ্যাত গীতিকারকে 'খেলা হবে' নিয়ে একটা গান তৈরির অনুরোধ করেন মমতা। তখন তিন জনের মুখেই হাসি নজরে আসে। এরপরই বেরিয়ে যান জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমি।