টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২০০৩ ও ২০০৮ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। গেল এক যুগে অজিদের মাটিতে সিরিজ খেলার আর সুযোগ পায়নি টাইগাররা। এমনকি বাংলাদেশেও অজিরা এসেছে এবার নিয়ে তিনবার। বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে নানা ছুতোয় বহুবার সিরিজ বাতিল করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট কূটনীতি আরও মজবুত হয়েছে। সেই ধারায় আগামী বছর বাংলাদেশ এ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফর করবে বলে গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ সফলভাবে আয়োজন করতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের দ্বার আরও খুলবে বলেও জানান তিনি। আকরাম খান বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সম্পর্ক আরও ভাল হয়েছে।
এবারের সফরে তারা যেভাবে চাচ্ছে আমরা সেভাবেই তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছি। তাদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। শুধু তাই না। আগামী বছর বাংলাদেশ এ দল অস্ট্রেলিয়া সফর করবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই বোর্ডের আলোচনা এমন ফলপ্রসূভাবেই এগিয়েছে।’ আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাস্তবিক অর্থে ব্যস্ত সূচিতে ঠাসা পড়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। আগামী দুই বছরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের সুযোগ শূন্যের কোঠায়। তবে, পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ যদি করোনার চ্যালেঞ্জ আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা মতো সফলভাবে সম্পন্ন করা যায় তাহলে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দ্বার উন্মোচিত হবে ভবিষ্যতে। করোনার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে এসেছে এটাই বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। এনিয়ে তিনি বলেন, করোনার মধ্যে তারা আমাদের এখানে এসেছে। তার ওপর তিন ম্যাচের জায়গায় তারা পাঁচটি করে টি-টোয়েন্টি খেলছে। এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি। এই সিরিজটি সফলভাবে আয়োজন করতে পারলে আগামীতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা যাবে বলে আশা তার। যদিও আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী, ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় দুই দফা সফর করবে আফগানিস্তান। কিন্তু, হোম কিংবা অ্যাওয়ে আগামী দুই বছরে অজিদের বিপক্ষে কোনো সিরিজ নেই বাংলাদেশের।