× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৩ আগস্ট ২০২১, মঙ্গলবার

টি-টোয়েন্টিতে চারবারের দেখায় একবারও অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে অধরা জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা। পাঁচ ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে অজিদের হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
অস্ট্রেলিয়ার গতির সামনে টাইগারদের ব্যাটিং দৃঢ়তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। প্রথমে ব্যাট করে যুতসই রান জড়ো করতেও পারেনি বাংলাদেশ। তবে স্পিনারদের ঘূর্ণি আর পেসারদের গতির সামনে টিকতে পারেনি অজি ব্যাটসম্যানরা। বল হাতে একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ।
মঙ্গলবার মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২৯ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৩১ রা সংগ্রহ কওে স্বাগতিকরা। ১৩২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০৮ রানেই থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
ব্যাট করতে নেমে বাজে শুরু করেন সৌম্য সরকার।
জশ হ্যাজলউডের বাইরের বল ভেতরে টেনে আউট হন তিনি। ফেরার আগে রান করেন মাত্র ২। মোহাম্মদ নাঈম সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৩০ রান করে ফেরেন। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ছিল দুটি করে চার ও ছক্কা।
সাকিব আল হাসান ৩৩ বলে ৩৬ রান করেন। এছাড়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২০ ও আফিফ হোসেন ২৩ রান করেন।
বাংলাদেশের ইনিংসে ছক্কা ছিল মাত্র তিনটি, যার দুটি হাঁকান নাঈম ও একটি রিয়াদ। গ্যালারিতে আছড়ে পড়ায় স্বভাবতই বলগুলো আর মাঠে ফেরত আসেনি, ম্যাচ অফিসিয়ালরা তাই বেছে নেন নতুন বল। অজিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের দিনে ছন্দে ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষদিকে ১৭ বলের মোকাবেলায় ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জশ হ্যাজলউড তিনটি, মিচেল স্টার্ক দুটি এবং অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যান্ড্রু টাই একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম তিন ওভারে অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপ ও মইসেস হ্যানরিকসকে সাজঘরে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। ১১ রানে ৩ উইকেট হারালে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। সেই চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন মিচেল মার্শ।
আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও। তবে ২৩ বল মোকাবেলা করেও ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। নাসুম একে একে শিকার করেন মার্শ, অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাস্টন টার্নারকে। অ্যাগার অবশ্য হিট উইকেটের শিকার হন। ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৫ রান করা মার্শ বিদায় নিলেই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দলটি।
৮৪ রানের মধ্যেই অজিরা হারিয়ে ফেলে ৬টি উইকেট। এরপর দাপট দেখান পেসাররা। সপ্তম ও দশম উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান, অষ্টম ও নবম উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। অজিরা ২০ ওভারে অলআউট হয় ১০৮ রানে।
নাসুম ৪ ওভার বল করে ৪ উইকেট শিকার করেন ১৯ রানের খরচায়। এর আগে ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে মাত্র ২টি উইকেট শিকার করেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম শিকার করেন দুটি করে উইকেট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর