সমস্যাগ্রস্ত কাশ্মীরের কষ্টের উপাখ্যানের কেন্দ্রস্থল এখন আর সৌদি আরব নয়, তুরস্ক। ২০১৬ সাল থেকে এ স্থানান্তর ঘটেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কাশ্মীর উপত্যকার সকল অশান্তির পেছনে পাকিস্তানই প্রকৃত শক্তি হিসেবে কাজ করছে। আইনি প্রতিষ্ঠান ডিজইনফোল্যাবের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ হয়েছে।
‘দ্য কাশ্মীর কনফ্লিক্ট ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক’ শিরোনামের এ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, কাশ্মীরের উপাখ্যানটি একটি বিশ্বব্যাপী পৃষ্ঠপোষকতার উপাখ্যান। যেখানে কাশ্মীরের প্রতি তথাকথিত মানবাধিকার ‘নিয়ে উদ্বেগ’ শেষ পর্যন্ত একটি সম্পর্কের সঙ্গে যোগসূত্র দেখানো হয়, যা পাকিস্তানি স্থাপনার মাধ্যমে স্থাপিত।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ‘কাশ্মীরের সমস্যার কেন্দ্রস্থল ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে (সৌদি আরব) এশিয়া মাইনরের (তুরস্ক) দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে।’ প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে এই পরিবর্তন দক্ষিণ এশিয়ার সংঘাতের ইতিহাসে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। এর মূল খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় এর কাহিনী প্রধান খেলোয়াড়দের কাছে চলে আসে যখন জামাত -ই-ইসলাম কাশ্মীরে সংঘাতের বীজ বপন করেছিলো। পরবর্তী প্রজন্মের মাধ্যমে তারা একইভাবে খেলে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ফলে এটি কেবলমাত্র ভারতীয় নয় কাশ্মীরিদের জন্যও অনুমান করা সহজ যে পাকিস্তান ও তাদের প্রতিষ্ঠানের কাশ্মীর ইস্যু সমাধান করার কোন আগ্রহ থাকবে না। পাকিস্তানের জন্য কাশ্মীরের ইস্যু সোনার ডিম দেয়া হাঁসের মতো। গল্পের সেই বোকা নারীর মতো তারা এই হাঁসকে মেরে ফেলবে না।’
পাকিস্তানের সাজানো এই নাটকে যে বিষয়টি পাওয়া যায় না তা হচ্ছে কাশ্মীরিরা নিজেই। যাদের ভূমিকা শুধুমাত্র বস্তুতে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, কাশ্মীরবাসীকে বাদ দিয়ে সবারই কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় কাশ্মীরের সঙ্গেই কোন যোগসূত্র পাওয়া যায় না। আর যদিওবা কখনো তাদের উপস্থিতি দেখা যায় তাহলে থাকে একেবারে সাইডে।
ডিজইনফোল্যাবের প্রতিবেদনটিতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয় কাশ্মীরের সংঘাত ‘একটি পারিবারিক কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যা পরিবারগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে- এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া