হাতে আছে মাত্র একদিন। এরপরই শুরু হচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম দিনই বাংলাদেশের ম্যাচ, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এর আগে ওমানের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে পাপুয়া নিউগিনি (পিএনজি)। এরপর ২১শে অক্টোবর টাইগারদের মোকাবিলা করবে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলটি। শক্তি-সামর্থ্যে পাপুয়া নিউগিনির চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ দলের স্পিন সামলাতে আলাদা ঘাম ঝরাচ্ছেন পাপুয়া নিউগিনির খেলোয়াড়রা। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশি স্পিনারদের তাণ্ডব দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
টাইগারদের সমীহ জাগানিয়া স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে লড়ে নিজেদের দেশকে গর্বিত করতে চান অধিনায়ক আসাদ ভালা। একই সঙ্গে সতীর্থদের মুহূর্তগুলোকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে চান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আসাদ ভালা বলেন, ‘আমাদেরকে বিশ্বমানের, অন্যতম সেরা স্পিন আক্রমণের মুখোমুখি হতে হবে। এটা আমাদের জানা আছে। এ বিষয়টা সামনে রেখেই আমরা অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এখন আমরা যে কতটা রোমাঞ্চিত এবং নিজেদেরকে প্রকাশ করার জন্য যে কতটা উদগ্রীব হয়ে আছি, সেটা দেখাতে চাই। আমরা নিজেদের মতো করেই খেলবো এবং নিজেরাই নিজেদের খেলায় আনন্দ খুঁজতে চাই।’ ফিল্ডিং বিভাগকে দলের মূল শক্তি হিসেবে ভাবছেন আসাদ ভালা। তিনি বলেন, ‘আমাদের গর্ব হচ্ছে ফিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট। অন্যান্য বিভাগেও আমরা সমানতালে ভালো করতে চাই। পুরো দলটাকেই অলরাউন্ড দল হিসেবে তৈরি করতে চাই। আমরা মাঠে সেরা দল নিয়ে হাজির হবো এবং নিজেদের দেশকে গর্বিত করার চেষ্টা করবো।’ পাপুয়া নিউগিনির ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি ওমানের বিপক্ষে। আসাদ ভালা বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা আমাদের জন্য গৌরবময় এবং ঐতিহাসিক একটি মুহূর্ত। অনেকদিন পর আমাদের এমন একটি মুহূর্ত সামনে এলো। অনেকবারই আমরা বিশ্বকাপ খেলার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর সম্ভব হয়নি। করোনা মহামারির মধ্যে অনেক মানুষ মারা গেছে, অনেকেই চাকরি হারিয়েছে- তাদের জন্যই আমরা এই বিশ্বকাপটা খেলতে চাই।’