মাত্র ১১৮ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে দিয়ে দারুণ কিছুরই আভাস দিচ্ছিলো অস্ট্রেলিয়া। তবে সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করতে হয়েছে অ্যারন ফিঞ্চদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বাকি ছিল ২ বল।
টসে জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট হাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানের টার্গেট দেয় দ.আফ্রিকা। জবাবে স্টিভেন স্মিথ, মার্কাস স্ট্রয়নিসদের ব্যাটে ১৯.৪ ওভারে জয় বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার জুটি অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সাবেকদের মতে এবারের আসরে সুবিধা না করতে পারলে দুই তারকার ভবিষ্যত শঙ্কায় পড়তে পারে। জায়গা হারাতে পারেন অজি দল থেকে। এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ফিঞ্চ-ওয়ার্নার।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৪ রানে উইকেট হারান অ্যারন ফিঞ্চ। সাজঘরে ফেরার আগে অজি অধিনায়ক খুলতে পারেননি রানের খাতা। এরপর ১৫ বলে ১৪ রান করে ফেরেন ওয়ার্নারও।
১১ বলে ১৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন মিচেল মার্শ। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন স্টিভেন স্মিথ। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ করে স্মিথ আউট হলে ভাঙে জুটিটি। ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৪ বলের ইনিংসটি সাজান ৩টি চার হাঁকিয়ে।
এরপর ম্যাক্সওয়েলের ১৮ রান, মার্কাস স্টয়নিস ২৪ রান ও ম্যাথু ওয়েডের ১৫ রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যানরিখ নর্তিয়ে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ ও তাবরাইজ শামসি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে তবে শুরুটা সুখকর হয়নি প্রোটিয়াদের। মাত্র ২৩ রানে তিন উইকেট হারায় কুইন্টন ডি ককরা। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন এইডেন মার্করাম। ৩৬ বলের ইনিংসটি মারেন ১টি ছক্কা ও ৩টি চার।
তাছাড়া কেউই ছুঁতে পারেনি বিশের কোঠা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১২, হেইরিখ ক্লাসেন ১৩, ডেভিড মিলার ১৬ ও কাগিসো রাবাদার ১৯ রানে ১১৮ রান জড়ো করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড ও অ্যাডাম জাম্পা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। ১টি করে উইকেটের দেখা পান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্স।