ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোডিন যুক্ত কাশির সিরাপ- সিবিসিএস (ডাকনামে যা লিন বা সিজার্প নামে পরিচিত) পাচারের চেষ্টার অভিযোগে এক চিকিৎসকসহ মাদক চক্রের অন্তত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তার বরাতে শনিবার এনডিটভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়- গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এনসিবি কলকাতা জোনের গুপ্তচররা বৃহস্পতিবার রাতে ব্যারাকপুরে অভিযান চালায় এবং ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা কোডিন সিরাপ চোরাচালানের সাথে জড়িত একটি সিন্ডিকেটের অংশ বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, এনসিবির দলটি প্রায় ২,২৪৫ সিবিসিএস ডায়ালেক্স ডিসি বোতলও জব্দ করেছে। দুই দেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াজুড়ে চোরাচালানের জন্যই সেগুলো মজুদ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এনসিবি কর্মকর্তা বলেন, “মাঝারি মাল পরিবহনকারী গাড়িতে ব্যারাকপুর থেকে ওই বিপুল পরিমাণ মাদক সিরাপ নদীয়াতে পাঠানোর কথা ছিল। আমরা প্রথমে দু’জনকে গ্রেপ্তার করি।
তারপর সে সূত্র ধরেই আমরা ওই ডাক্তারের হদিশ পাই। সেই ডাক্তার ও ডঃ রেড্ডির এক প্রতিনিধিকে আমরা গ্রেপ্তার করি। ওই অভিযুক্ত ডাক্তার নিজের গোডাউনে কোডিনযুক্ত কাশির সিরাপ মজুত করে রেখেছিল। ডাক্তারের ওই প্রতিনিধি যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিল। ওই গোডাউনের কোনও লাইসেন্সও নেই।"
উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের "ইয়াবা" ট্যাবলেট এবং ভারতের তৈরি কোডিনযুক্ত সিরাপ চোরাচালান রোধে ভারতের সহায়তা চেয়েছিল। যদিও এসব সিরাপ ভারতে বৈধভাবে তৈরি হয়, তবে বাংলাদেশে যারা এই সস্তা সিরাপ দ্রুত নেশা করার জন্য গ্রহণ করেন তাদের জন্য এগুলো অবৈধভাবে পাচার করা হয়।