× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাঈম শেখকে দলে নেয়ার কারণ জানালেন নান্নু

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ম্যাচের দুই ইনিংসে করেছেন ৩৪৯ রান। যেখানে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চার ব্যাটার মিলে করেছেন মাত্র ৬৭ রান। তাই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টপঅর্ডারে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা ছিল যথেষ্টই। ঢাকা টেস্টের স্কোয়াডে দেখা যাবে পরীক্ষিত কোনো ওপেনার বা টপঅর্ডার ব্যাটারকে- এমনটাই ছিল সবার আশা। এমনকি অধিনায়ক মুমিনুল হকও ম্যাচ শেষে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অভিজ্ঞতার দিকে ঝোঁকার কথাই বলেছিলেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো নেয়া হয়েছে বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটার মোহাম্মদ নাঈম শেখকে।
নিয়মিত টি-টোয়েন্টি খেলা নাঈম শেখ সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ২১ মাস আগে। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে খেলা শেষ ম্যাচের দুই ইনিংসেই শূন্যরানে আউট হন নাঈম।
তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারও উজ্জ্বল নয়। ৬ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে মাত্র ১৬ গড়ে সাকুল্যে রান ১৮৩। সিনিয়র কাউকে না ডেকে নাঈমকে টেস্ট দলে ডাকায় সমালোচনা হচ্ছে চারদিকে। যদিও এসব সমালোচনা আমলে নিতে চান না বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তার মতে নাঈম লম্বাসময় ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেললেও, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত আছেন। নিয়মিত খেলছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তাই আন্তর্জাতিক মানের বোলারদের মোকাবিলা করা সহজ হবে তার জন্য। প্রধান নির্বাচকের কথায় আরও একবার উঠে আসে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের পার্থক্যটা। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকার সুবাদে আন্তর্জাতিক মানের অনুশীলন সুবিধা পান নাঈম। নেটে বোলিং মেশিনের মাধ্যমে ১৪০-১৪৫ গতির বোলিংয়ের বিপরীতে অনুশীলনও করা হয় তার। কিন্তু জাতীয় লীগ খেলা ক্রিকেটারদের সেই সুবিধা নেই। এছাড়া বেশিরভাগ ম্যাচই খেলা হয় স্পিন সহায়ক উইকেটে। যেখানে গতিময় পেসারদের চেয়ে স্পিন পরীক্ষাই বেশি দিতে হয় ব্যাটারদের। তাই জাতীয় লীগে
ভালো করা ব্যাটারদের দিকে নজর থাকলেও, এখনই তাদেরকে শাহিন আফ্রিদি, হাসান আলীদের পেসের সামনে ফেলতে রাজি নয় নির্বাচক প্যানেল। এ নিয়ে নান্নু বলেন, ‘আমরাও জানি নাঈম লঙ্গার ভার্শন কম খেলে। কিন্তু আমরা একটা জিনিস বুঝতে পারছি, আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ফারাক অনেক। দীর্ঘদিন ধরে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে নাঈম। সে জাতীয় দলের সঙ্গে নিয়মিতই আছে। সে শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেললেও, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনুশীলন নিয়মিতই করে। অনুশীলনে নিয়মিতই বোলিং মেশিনে উচ্চগতির বিপক্ষে খেলছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে এই সুবিধাটা নেই। তাই জাতীয় লীগের কোনো ব্যাটারকে হুট করেই শাহিন আফ্রিদি-হাসান আলীদের বিপক্ষে নামিয়ে দেয়া সমীচীন মনে করিনি আমরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর