× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শ্রীমঙ্গলে ৯ ইউপি’তে ফলাফল বিশ্লেষণ / অর্ধেক প্রার্থীই জামানত খুইয়েছেন

দেশ বিদেশ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৫ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলের ৯ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  ৪৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২২ জনই জামানত হারিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই এক বা একাধিক প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগ না পেলে জামানত হারান প্রার্থীরা। গত ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে প্রতিটি ইউপিতেই কোনো না কোনো প্রার্থী জামানত খুঁইয়েছেন। এর মধ্যে ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ছিলেন ২০ হাজার ৯২৮ জন, তাদের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১৫ হাজার ৫১১ জন। জামানত রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৯শ’ ৩৮ ভোটের। কিন্তু এর থেকেও কম ভোট পেয়েছেন এই ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুফি মিয়া। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ২শ’ ৯২ ভোট।
২নং ভূনবীর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। তাদের মধ্যে ৩ জনই জামানত খুঁয়েছেন। ২৬ হাজার ৮৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট কাস্ট হয়েছে ১৭ হাজার ৮১৯টি। জামানত রক্ষায় ২ হাজার ২শ’ ২৭ ভোটের প্রয়োজন হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেননি ৩ প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী। ৩নং শ্রীমঙ্গল ইউনয়নে মোট ভোটার ৪০ হাজার ৪শ’ ৪২ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছে ২৫ হাজার ৯০০ জন। এখানে জামানত রক্ষার ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ২৩৭ জন। কিন্তু সেই লক্ষ্য ছুঁতে পারেননি আব্দুর রহমান খান (মোটরসাইকেল) ও শাহ মো. লিয়াকত আলী (আনারস)। ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়নে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। এই ইউপিতে মোট ভোটার ছিল ২৫ হাজার ২৬ জন। যার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৭ হাজার ৫৮২ জন। জামানত রক্ষা করতে এখানে ভোটের প্রয়োজন ২ হাজার ১৯৭টি। ৫নং কালাপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৬ হাজার ৯৮৪ জন। যাদের মধ্যে ১৯ হাজার ২৫৬ জন ভোট দিয়েছে। এখানে জামানত হারিয়েছেন নুরুল ইসলাম (হাতপাখা) ১৯৪ ভোট, মামরুল আলম বদরুল (মোটরসাইকেল) ৭৬৪ ভোট, মো. দেলোয়ার হোসেন (অটোরিকশা) ৯৫৬ ভোট, হাফিজুর রহমান চৌধুরী (চশমা) ১ হাজার ৬৯২ ভোট। ৬নং আশিদ্রোন ইউপিতে মোট ভোটার ৩০ হাজার ৫৬২ জন। এখানে কাস্ট হয়েছে ২১ হাজার ৩শ’ ৮৪ ভোট। জামানত রক্ষায় ২ হাজার ৬৭৩ ভোট প্রয়োজন। কিন্তু সেই সংখ্যা ছুঁতে পারেনি মোটরসাইকেল প্রার্থী মো. শামছুল আলম সরাফত। ৭নং রাজঘাট ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৮ হাজার ৯৪৩ জন। যাদের মধ্যে ভোট দিয়েছে ১৪ হাজার ৩৮ জন।  এখানে নির্বাচিত প্রার্থী বিজয় বুনার্জী (নৌকা) বাদে সবাই জামানত হারিয়েছেন। ৮নং কালীঘাট ইউপিতে ভোটার ১৬ হাজার ২শ’ ২ জন। ভোট দিয়েছেন ১২ হাজার ৪শ’ ৪৫ জন। এখানে জামানত হারিয়েছেন রাজকুমার গোয়ালা (ঘোড়া)। ৯নং সাতগাঁও ইউপিতে মোট ভোটার ৮ হাজার ৮শ’ ৬৭ জন। এখানে ভোট দেন ৭ হাজার ৭৯ জন। এখানে জামানত রক্ষায় ৮৮৪টি ভোটের প্রয়োজন হলেও জামানত খুঁইয়েছেন  দীপক বাউরি (ঘোড়া) ১২০ ভোটে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর