অনলাইন
ঢাবিতে প্রকাশ্যে ছাত্রশিবির,ক্যাম্পাস জুড়ে আলোচনা-কৌতূহল
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(৯ মাস আগে) ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৯:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় পর প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।জামায়াত ইসলামের আলোচিত এই ছাত্র সংগঠনের প্রকাশ্যে আসার ঘোষণার পরে ক্যাম্পাস জুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে চলছে আলোচনা। সদ্য ঘটে যাওয়া অভ্যুত্থানে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে কৌতূহল।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সাদিক কায়েম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এই শিবির নেতার বাড়ি চটগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলায়। পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন হিল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ।
আজ বিকেল তিনটার দিকে নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে সাদিক লিখেন,ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোনো রাজনীতি থাকে না। বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে ভেস্তে যাবে আমাদের এই স্বাধীনতা। আমরা চাই ছাত্র রাজনীতির সংস্কার গবেষণা, পলিসি ডায়ালগের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হোক।নতুন গণতান্ত্রিক দেশে কেউ যাতে ফের স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে সেদিকেও সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান এই শিবির নেতা।
তার এই পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ভাইরাল হয়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেই পোস্টে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।শেয়ার হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার বার।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে জামায়েত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরে ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ছিল সবমহলে।আওয়ামী লীগের শুরু থেকে বরাবরই দাবি করে আসছিল এ আন্দোলনের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে জামায়াত-শিবির। যদিও ছাত্রসংগঠনটি পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের এ দাবির বিরোধিতা বা সমর্থন করে কিছু বলা হয়নি
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি দাবী করা সাদিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। সাম্প্রতিক সময়ে প্ল্যাটফর্মটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে শিবিরের এই শীর্ষ নেতাকে বেশ সরব দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।২০১১-১২ শিবিরের কোন ধরনের প্রকাশ্য কার্যক্রম ক্যাম্পাসে ছিল না বলে জানান সে সময় থেকে ক্যাম্পাসে থাকা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির প্রকাশ্যে আসা নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানা মন্তব্য করছেন।ক্যাম্পাসে সাদিক কাইয়ুম পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি এতদিন বিষয়টি কিভাবে লুকিয়ে রেখেছেন তা নিয়েও অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন হল ও অনুষদে কারা সংগঠনটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তা নিয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ছাত্রশিবিরের নতুন এই আত্মপ্রকাশ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
শিবিরের প্রকাশে আসা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অন্যান্য ছাত্র সংগঠন। ছাত্রদল কেন্দ্রীয়ভাবে কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও সংগঠনটির নেতাকর্মীরা গোপন রাজনীতি বাদ দিয়ে শিবিরের প্রকাশে আসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।তারা প্রত্যাশা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ইউনিট ও হলের সব শিবির নেতাকর্মী প্রকাশ্যে এসে আগামীতে ছাত্ররাজনীতি করবেন।
পাঠকের মতামত
ছাত্র সংগঠনটির সদস্যদের শুরুতে ট্রেনিংই দেওয়া হয় মোনাফেকি করার। প্রশিক্ষণ চলাকালে তাদের উপরে ভালো মানুষের ভেক ধরতে বলা হয় আর ভেতরে তাদের ভয়ংকর রুপ দেখাতে বলা হয়। সেখানে কোনো দয়ামায়া দেখানোর ব্যাপার থাকা একদম নিষেধ।সুতরাং সাধু সাবধান। মুখ দেখে ভুল করোনা মুখটা মনের আয়না নয়।
wow
বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার অন্যতম রূপকার এ দেশের মুক্তিকামী ছাত্র জনতার ভ্যানগার্ড ইসলামী ছাত্র শিবির।
১৬ বছর ধরে প্রকাশে আসবে কি করে ? বিগত সরকারের জামাত শিবিরের কথা শুনলেই চুলকানি উঠিতো ।
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ। দিশাহারা ছাত্র সমাজ একটি আদর্শ ঠিকানা পাবে।
আলহামদুলিল্লাহ। দিশাহারা ছাত্র সমাজ একটি আদর্শ ঠিকানা পাবে।
ধূর্ত ও ফ্যাসিস্টদের এটা ভালো লাগেনি
রগ কাটা শিবির আবার আসলো এবার শুরু হবে হত্যার রাজনীতি ও খুনোখুনি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।
Shibir is a real student organisation.
আলহামদুলিল্লাহ, এই অপেক্ষায় ছিলাম কখন আল্লাহর সাহায্য এসে যাবে এবং বিশেষ করে ঢাবিতে শিবির প্রকাশ্যে আসবে। আবারো আলহামদুলিল্লাহ।
সাদিক কাইয়ূম একজন ছাত্র। সে পরিচয়েই কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হয়েছিলেন। উনি শিবির পরিচয়ে আসেননি। রাজনৈতিক পরিচয়ে ১৬ বছরে কেউ ফ্যাসিবাদ হটাতে পারেনি। তাই তার রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ হওয়াতে যাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে তারা হয় ফ্যাসিবাদের দোসর, না হয় ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক। এখন শাহেদ আলমরা নিজের পরিচয় ক্লিয়ার করেন।
i love shibir
আহলান ওয়া সাহলান।
শিবির একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম চমক! আল্লাহ তায়ালা এদের সাহায্যকারী।
সুবহানাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহু আকবার!
গত দেড় যুগ ধরে, সারা দেশ ব্যাপী চাঁদাবাজি, ধর্ষণ এ রেকর্ড কি শিবির করেছিল? সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দল কারা ছিল? লগি বৈঠা, ছুরি চাপাতি, রামদা, পিস্তল, বন্দুক নিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার ঘোষণা দিয়ে, যারা নিরপরাধ নিরস্ত্র মানুষ জন খুন করেছে আওয়ামী পুলিশ এর ছত্র ছায়ায়, তারা কি "শিবির" ছিল? এদের প্রতি এই ভয় কেন ? আমরা কাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত বা যুক্তি সঙ্গত বলে মনে করবো ?
Best wishes for you and your party.
অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করে ছিলাম ফেসবুকের ভাইরাল হওয়া সংবাদটি মানব জমিনে কখন ছাপবে।
জাতিকে বিভাজিত রাখা ছিল ফ্যাসিষ্টদের একটি কৌশল, যা পরাস্ত হয়েছে। এখন দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজন দল, মত নির্বিশেষে সকল দেশপ্রেমিকদের জাতীয় ঐক্য।
Alhamdulillah, Insha Allah Islam will win, Ameen
শিবির একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম চমক! আল্লাহ তায়ালা এদের সাহায্যকারী।
সকলেরই রাজনীতি করার অধিকার আছে।এরা কোন চাঁদাবাজিতে এ পর্যন্ত জড়িত নাই যা অন্যরা করে। ক্যাম্পাসে সুস্থ ধারা ফিরে আসুক।
Alhamdulillah
Jite Raho
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ইসলামী ছাএ শিবির প্রতিষ্টা লাভ করে। এখান থেকেই শুরু হয় ইসলামী ছাএ শিবিরের পথচলা। ঢাবিতে শিবির সবসময়ই ছিলো আছে থাকবে --
Welcome
স্বাগতম❤️
আলহামদুলিল্লাহ। দিশাহারা ছাত্র সমাজ একটি আদর্শ ঠিকানা পাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ইসলামী ছাএ শিবির প্রতিষ্টা লাভ করে। এখান থেকেই শুরু হয় ইসলামী ছাএ শিবিরের পথচলা। ঢাবিতে শিবির সবসময়ই ছিলো আছে থাকবে --
শিবির একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম চমক! আল্লাহ তায়ালা এদের সাহায্যকারী।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সবার অধিকার আছে। তবে জঙ্গি, লুটেরা, ধর্ষক, খুনি হলে ভিন্ন কথা। কম্যুনিজম থাকতে পারলে ইসলামিজমও থাকতে পারবে। ফ্যাসিজম সবার শত্রু তাই সবাই ফ্যাসিজমকে বিতাড়ন করবে।
Please, মিডিয়ার ভাইদের বলতে চাই আপনাদের লেখার ধরন পাল্টাতে হবে। ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ কোনো দল নয়, তাছাড়া বিগত হাসিনা ফ্যাসিবাদী স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির খুবই জোরালো ভাবে আন্দোলন করেছে। তাই এখন সময় এসেছে মিডিয়ার ফ্যাসিবাদী মনোভাব দুর করার। ছাত্রদল যেমন আছে অনুরুপভাবে ছাত্রশিবির ও থাকবে তবে ক্যাম্পাস প্রশাসনের নিয়ম মেনে তারা রাজনীতি করবে। আর আপনাদের লেখাগুলোও সেই ভাবেই লিখবেন, অতিরঞ্জিত করবেন না। ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এদেশের ছাত্রজনতার দল, তাদেরকে দেখলেই উল্টাপাল্টা অতিরঞ্জিত লেখালেখি করা যাবে না।