রাজনীতি
সংবিধান পরিবর্তনের দায়িত্ব জনগণের অন্য কারো নয়, আপনারা কারা? প্রশ্ন ফখরুলের
আরিফ মাহফুজ, লন্ডন থেকে
(১ মাস আগে) ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি
সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তনে বিএনপির দ্বিমত নেই, সেটা সংবিধান পরিবর্তন বা নতুন করে লিখন যাই হোক না কেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে করবে? এটি করার এখতিয়ার কার? সংবিধান পরিবর্তনের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের। আর জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় সংসদে। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন যে, আমরা করে ফেলবো। আপনারা কারা? আপনাদের ম্যান্ডেট কোথায়? কেউ কেউ বলছেন, জুলাই- আগস্টের ম্যান্ডেট, এটা এভাবে বলা যায় না।’
শনিবার লন্ডনে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে সভায় বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপি মহাসচিব।
বিপ্লবী সরকার গঠনের প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, ‘তাহলে আপনারা বিপ্লবী সরকার গঠন করলেন না কেন? বিপ্লবী পরিবর্তন আনতে পারতেন। এই সংবিধানের অধীনেই আপনারা শপথ নিয়েছেন। তবে প্রয়োজনীয় যে বিষয়গুলো সংবিধানে আছে, সে পরিবর্তনগুলো আনতে হবে। সংবিধান সংস্কার যে কমিটি করা হয়েছে, বিএনপি তার সঙ্গেও একমত।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে হবে। এখন সমানে হঠকারিতা করার কোনো সুযোগ নেই, একটু স্লিপ করলেই একদম শেষ, এজন্য সবাইকে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে কথাবার্তাসহ সবকিছুতেই সাবধান থাকতে হবে। এবার যদি ভুল হয়, তাহলে নতুন একটি বাংলাদেশ তৈরি করার যে সুযোগ এসেছে, সেটি আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। পতিত ফ্যাসিস্ট দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।’
ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছর আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতির যে সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতিকে মর্যাদা দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিধানকে সন্নিবেশিত করেছিলেন। সংবিধানে এই বিধানটি সংযুক্ত হওয়ার পর নির্বাচনের পূর্বে বা পরে যে নৈরাজ্যমূলক অবস্থার সৃষ্টি হতো সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পর পর তিনটি নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিলো। সে সময় কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু ২০০৮ সালে একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে সুকৌশলে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে ফেলার কাজটি শুরু করেন। ২০১২ সালের মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করে দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা-অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তাদের দুষ্কর্ম, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণেই দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলো। আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দুটো বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে সন্ত্রাস ও অপরটি দুর্নীতি। জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখার যে প্রবণতা, সেজন্য তারা অনেক কিছুই করেছে। তাদের দুর্নীতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলে বিচারপতি খায়রুল হকের ভূমিকা নিয়ে মহাসচিব বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের একটি রায় অত্যন্ত কলঙ্কজনক অধ্যায়, যা বিচারপতি খাইরুল হক দ্বারা হয়েছিল। তিনি ন্যায়বিচারের সব কিছুকে জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ হাসিনার ইচ্ছাকে চরিতার্থ করার জন্যে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা যেতে পারে বলে রায় দিয়েছিলেন। যে রায়টি তিনি দিয়েছিলেন তা ছিল একটি সংক্ষিপ্ত রায়, কিন্তু ১৬ মাস পরে কিছু পরিবর্তন করে একটি পূর্ণাঙ্গ রায় দেয়া হলো। সেই রায়টি বাংলাদেশের রাজনীতিকে শেষ করে দিয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর আর একটি নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হয়নি।’
হাসিনার শাসনামলে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য মিডিয়া হচ্ছে একটি শক্ত খুঁটি, কিন্তু শেখ হাসিনা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে দেশের সমস্ত প্রেসকে গলা টিপে ধরেছিলো, দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের মিডিয়াকে নষ্ট করে ফেলেছিলো। যার ফলে সাহস করে কেউ একটি লাইন লিখতে পারেননি। কিছু প্রেস প্রকাশ্যে তার চাটুকারিতায় ব্যস্ত ছিল।’
বিগত সময়গুলোতে বিএনপির কঠিন সময় কেটেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭০০ জনকে গুম করা হয়েছে। পুলিশ ও আদালতের প্রতিযোগিতা ছিল যে বিএনপিকে কত বেশি কষ্ট দেয়া যায়। তারপরও শুকরিয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন করে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ফিরে পেতে কিছু কালো মেঘ জমেছে, কিছু ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় কিছু মিডিয়া প্রচারণার মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোকে প্রভাবিত করছে। যার প্রতিক্রিয়া যুক্তরাজ্য থেকেও প্রতিফলিত হয়েছে। ৫ই আগস্ট থেকে ৩ দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না, পুলিশ ছিলো না।’
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কারের অভাব বিএনপি আগেই অনুভব করেছে। সংস্কার ছাড়া দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। যার ফলে বিএনপি ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করে, সেখানেই পরিবর্তন সংস্কার নিয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে। এমনকি সেখানে সংসদীয় ব্যবস্থা পরিবর্তন করা এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কতটুকু হওয়া দরকার সে ধারণা দেয়া হয়েছে। তারপর ১০ দফা, ২৭ দফা ও সর্বশেষ ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে যার মধ্যেই সব সংস্কারের রূপরেখা রয়েছে।’
সবার মতামত এর সহিত আমিও আছি।
কেন, এবার আপনারা ঈদের পরে আন্দোলন করবেন না? জনগণের আন্দোলনে অসংখ্য শহীদ, পংগুত্ব ও অন্ধত্বের বিনিময়ে খুনি হাসিনা পালিয়ে গেছে। অপামর ছাত্রজনতার ব্যাপক ম্যান্ডেট নিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কাজেই সংবিধান সংস্কারের দায়িত্ব ও ক্ষমতা এই সরকারের আছে। ভবিষ্যতে নতুন কোন স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ যাতে আর জাতির ঘাড়ে চেপে বসতে না পারে সেই ব্যবস্থা সংবিধানে সন্নিবেশ করতেই হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দিতে হবে।
দেশের ১৮ কোটি মানুষের ম্যান্ডেট ড: ইউনুস ও ছাত্রদের সাথে থাকার পরেও মির্জা সাহেব চিনতে পারছেন না এরা কারা? কি যে হলো আপনার!
পলাতক হাসিনা গত ১৬ বছর বিএনপিসহ বিরোধী মতের এমন কেহ নাই, যাদেরকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কষ্ট দেয়নি। কিন্তু এই লোকের ব্যাপারে আমার সন্দেহ হয় এবং একজন বিএনপি কর্মী হিসেবে কষ্টও লাগে। ওনি হাসিনা পতনের পর থেকে আওয়ামীলীগের দোসর এবং ভারতের দালালি করে যাচ্ছেন।
এই লোক ডুবাবে বিএনপিকে। নিশ্চিত ধরে রাখেন।
বর্তমান সরকারের যে ম্যান্ডেট এরকম ম্যান্ডেট বিএনপি কোনো দিন ও পাবে না। ছেড়ে দেয়া লুটেপুটে খাই।
জনগণ কি চায় বুঝতে চেষ্টা করুন স্যার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে। পরিবর্তনের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের। আর জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় সংসদে। আপনাদের ম্যান্ডেট কোথায়? জুলাই- আগস্টের ছাত্র-জনতার ম্যান্ডেট।
সংবিধান পরিবর্তনের দায়িত্ব জনগণের অন্য কারো নয়, আপনারা কারা?---কেন? ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক!
বাংলাদেশের জনগন ডঃ ইউনুসকে দায়িত্ব দিয়েছে ।
মাঝেমাঝেই আপনি ভুল বলেন! কেন? বলুন তো, মির্জা সাহেব!
আপনি কে?? সংস্কার ছাড়া মানুষ কোন নির্বাচন মানে না।
আমরা জনগণ। আমরাই তো চাই সংবিধান অন্তর্ভতি সরকার সংবিধান পরিবর্তণ করুক। আমরাই তো আন্দোলন করেছি। আপনারা ঈদের জন্য অপেক্ষা করুন।
আপনারা কারা?
That you could not do in last 16 years they are that doers.
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব মনে হয় কথা কম বললে জাতি ও বিএনপির জন্য ভাল হয়।