বাংলারজমিন
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও চিন্তায় শিমু ও শশী
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৪ জানুয়ারি ২০২৫, শুক্রবারচলতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের সাতজন ছাত্রী দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বুধবার পৌর শহরের রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদেরও ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহীদুল্লাহ। কিন্তু তাদের মধ্যে টাকার দুশ্চিন্তায় রয়েছে দু’টি পরিবার। এদিকে, তাদেরকে সহযোগিতা করার কথা ভাবছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা হলেন- সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী, কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী তাসনিয়া রহমান ও তাসমিয়া জান্নাত নোভা, পাবনা নীলফামারী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান শশী, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী সীমা আক্তার শিমু, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী নাদিয়া আক্তার ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী সেতুয়া হোসেন রিয়া।
এদের মধ্যে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বাদশা মিয়ার মেয়ে সীমা আক্তার শিমু ও একই উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের মেয়ে নুসরাত জাহান শশী। ভর্তি পরীক্ষায় শিমু পেয়েছে ৭৬ দশমিক ২৫ ও শশী পেয়েছে ৭৫ দশমিক ৭৫ নম্বর। বাকি দিনগুলো খরচ চালিয়ে নেয়ার দুশ্চিন্তা যেন কাটছেই না পরিবারগুলোর। জানা যায়, একটি হাসপাতালে মার্কেটিং বিভাগের কর্মচারীর মেয়ে শশী। তার আরও ২ বোন রয়েছে। তিন মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাবা জিল্লুর রহমানের।
অপরদিকে, শিমুর বাবা বাদশা মিয়া পেশায় একজন ভ্যানচালক। তার একক আয়েই চলে তাদের সংসার। পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে ভৈরবের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। প্রতিদিন এই দূরত্ব পাড়ি দিয়েই কলেজে আসতেন শিমু। এ বিষয়ে শিমু বলেন, ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে। তারপর আবার লেখাপড়ার খরচ। এ কারণে আমি চিন্তিত। এ বিষয়ে কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক সাংবাদিক সত্যজিৎ দাস ধ্রুব বলেন, দু’জনের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। শিক্ষার্থী শিমুর বাবা ভ্যানচালক। বেতন ছাড়া সে কলেজে পড়েছে। তার বইপত্র আমরা ফ্রি দিয়েছি। শশীর পরিবারেরও আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। তার বাবাও অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াচ্ছে। তাকেও আমরা একইভাবে সহযোগিতা করেছি। কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, শিমু ও শশী আমাদের কলেজের একটি অংশ। মেডিকেল কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে পড়া অবস্থায় কলেজের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।