অনলাইন
বিস্ফোরক ট্রাম্প: ' ইউক্রেন হয়তো একদিন রাশিয়ার হয়ে যাবে!'
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:২০ অপরাহ্ন

মস্কোর পক্ষে আমেরিকান নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেছেন - 'ইউক্রেন একদিন হয়তো রাশিয়ার হয়ে যাবে। 'চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তার আগেই ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ক্রেমলিন ইউক্রেন আক্রমণ করার প্রায় তিন বছর পর, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে। কারণ কিয়েভ সৈন্যরা লোকবল ও অস্ত্রের অভাবের সাথে নিজেদের সংগ্রাম জারি রেখেছে। এর মধ্যে, ট্রাম্প যিনি তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারের সময় ২৪ ঘন্টার মধ্যে যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এখন, মস্কো এবং কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাপ দিচ্ছেন।
বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইউক্রেন হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে কোনও সমঝোতা করতে পারে। আবার সেটা নাও হতে পারে। আবার এমনটাও হতে পারে, ইউক্রেন একদিন রাশিয়ার হয়ে গেল।” ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ঘিরেই চলছে জোর চর্চা। ঠিক কী বলতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিনিয়োগের উপর রিটার্নের অংক কষছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন বিরল খনিজগুলির জন্য কিয়েভের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেছেন - ' আমি তাদের (ইউক্রেন) বলেছিলাম যে আমি সমতুল্য জিনিস চাই, যেমন ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিরল খনিজ এবং তারা এতে সম্মত হয়েছে। 'ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে যে নিরাপত্তা গ্যারান্টির বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সাথে সম্পদ আহরণের জন্য একটি অংশীদারিত্ব গঠনের লক্ষ্যে তিনি আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। ট্রাম্প, যিনি বারবার দাবি করেছেন যে ২০২২ সালে তিনি ওভাল অফিসে থাকলে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ কখনই ঘটত না, ক্ষমতায় আসার পর এখন যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। তিনি এর আগে ইউক্রেনের বিশাল সামরিক সহায়তার সরবরাহ বন্ধ করার অভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো চুক্তির অংশ হিসেবে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কঠোর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করছে । কিয়েভ আশঙ্কা করছে , যে কোনো চুক্তিতে কঠোর সামরিক প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত না থাকলে - যেমন ন্যাটো সদস্যপদ বা শান্তিরক্ষা সৈন্য মোতায়েন- ক্রেমলিন নতুন করে আক্রমণের জন্য পুনরায় সজ্জিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবে।
সূত্র: এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
সেই পারবে আমেরিকার মোড়লগিরী ছুটাতে!
পাগলে কত কিছুই ভাবে!