খেলা
‘দেশি কোচ থাকলে আমরা মনের কথাটা বোঝাতে পারি’
স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
অনেক দিন ধরেই জাতীয় ক্রিকেট দলে দেশীয় কোচদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি ছিল ক্রিকেট অঙ্গনে। সর্বশেষ সালাউদ্দিন আহমেদকে সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের বোলিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান বলেছেন, কোচিং প্যানেলে দেশীয় কোচ থাকলে তারা নিজেদের কথা সহজে বোঝাতে পারেন। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের হয়ে খেলছেন মেহেদী। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন এ টাইগার অফস্পিনার। জাতীয় দলে দেশীয় কোচ হিসেবে সালাউদ্দিনের সঙ্গে রসায়ন নিয়ে শেখ মেহেদী বলেন, ‘আন্ডারস্টান্ডিংটা ভালো। ফরেন কোচ যদি থাকে...যেহেতু আমরা বাঙ্গালি, ইংরেজিতে প্রত্যেকেরই কম-বেশি দুর্বলতা আছে। বাংলাদেশি কোচ থাকলে যে জিনিসটা হয় আর কী, আমরা তাদের ভিতরের কথাটা বোঝাতে পারি। লোকাল কোচরাও আমাদের ভালো বোঝে, যেহেতু তাদের সঙ্গে অনেক দিন ধরে কাজ করছি। বিদেশি কোচরা দেখা যায় দুই বছর বা এক বছর মেয়াদে আসে, তার জন্য সবকিছু ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। দেশি কোচ থাকলে বোঝাপড়া খুব ভালো হয়। সে হয়তো বা কাছে নেই কিন্তু মোবাইলেও তার সঙ্গে অনেক কিছু আলোচনা করা যায়।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণে এখন গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেহেদী। নতুন বল বা পুরোনো বল সবখানেই দেখা যায় তাকে। তবে শুরুতে মার খেলেও পরে উইকেট নিয়ে পুষিয়ে দেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা ও মাথা ঠান্ডা রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মেহেদী। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে গেলে নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকতেই হবে। এটা না থাকলে ভালো করা কঠিন। ক্রিকেট খেলতে গেলে মার খাবেন, অনেক সময় ছয় ছক্কাও হজম করবেন এক ওভারে! ওখান থেকে ব্যাক করতে হবে, ওই সময় মেন্টালিটি থাকতে হবে, শান্ত থাকতে হবে। আর দিন শেষে আমি বোলার, আমাকে সব জায়গাতেই বোলিং করা শিখতে হবে। যেহেতু আমি মিস্ট্রি স্পিনারও না, বা রিস্টি স্পিনারও না। আমি যেহেতু ফিঙ্গার স্পিনার, আমাকে ব্যাটারের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হয়।’ মূল কাজ বল হাতে হলেও ব্যাটিংটাও ভালোই পারেন মেহেদী। শেষের দিকে ক্যামিও খেলে দলের পুঁজি বাড়াতে পারেন তিনি। অলরাউন্ডারিং পারফর্মেন্স নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪৬ উইকেট নেওয়া এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমার আসলে উন্নতি করার জায়গা আছে অনেক। আমি যেহেতু বোলিং অলরাউন্ডার, মূল কাজ বোলিংয়ে। সেখানে আরও উন্নতি করতে পারলে ব্যাটিংয়ে দিন দিন নিজেকে আরও পরিণত করতে পারবো। আমি যেখানে ব্যাটিং করি আগে থেকে সেট করা থাকে না, হুটহাট সিদ্ধান্ত হয় যে এই জায়গায় ব্যাটিংয়ে নামবো। আমার ক্ষেত্রে কঠিন তবে আমি মেন্টালিটি ওভাবে নিয়েছি যে যেখানেই নামি না কেন দলের জন্য খেলতে হবে। আর এই মেন্টালিটি নিয়েই ক্রিকেট খেলতে হবে।’